বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বামীর ফিঙ্গার প্রিন্টে বেতন তোলেন স্ত্রী

স্বামীর ফিঙ্গার প্রিন্টে বেতন তোলেন স্ত্রী
৪১০ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক আয়ার বিরুদ্ধে ৪ বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতনভাতা ভোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ বছরে তিনি প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন।

অভিযুক্ত রহিমা বেগম ১৯৯৫ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যান। এরপর আর কর্মস্থলে যোগদান না করেও গত চার বছর ধরে সরকারি বেতন-ভাতার টাকা ভোগ করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে, মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরা (ফিঙ্গার প্রিন্ট) চালু করা হয়। এক্ষেত্রে আয়া রহিমার শতভাগ উপস্থিতি ঠিক রাখতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় গত ৪ বছর ধরে স্বামী জামাল হোসেন তার আঙ্গুলের ফিঙ্গার প্রিন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। মাস শেষে রহিমা ২৪ হাজার টাকা ও সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা তুলে নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আয়া রহিমা বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমি পায়ে ব্যথা পেয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক বছর আমার চলাফেরা করতেও খুবই সমস্যা হতো। নিয়মিত চিকিৎসার ফলে বর্তমানে আমি কিছুটা ভালো। আমি প্রতিদিনই হাসপাতালের ডিউটিতে যাই। অসুস্থতার কারণে আমি কাজ করতে পারি না বিধায় আমার স্বামী আমার উপস্থিতিতে কাজে সহযোগিতা করে থাকেন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর রহিমা বেগমের বিষয়টি জানতে পারি। আসলে আমার আগে যে কর্মকর্তারা ছিলেন তারা নাকি রহিমা বেগমের অসুস্থতার কথা জেনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার উপস্থিতিতে তার স্বামীর ডিউটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তারপরও বিষয়টিকে আমি যাচাই-বাছাই করে গুরুত্বসহকারে দেখছি।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে দেখছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This