কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, সাদাপোশাকধারী লোকেরা তৌহিদুল ইসলামকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার ও প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসরদের হাত থাকতে পারে এ ঘটনায়, যা গভীর অনুসন্ধানের দাবি রাখে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এটি দেশবাসীকে হতবাক করেছে এবং জনমনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি আওয়ামী শাসনের ন্যায় রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে দেশ আবারও নৈরাজ্যের অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো সরকারি বাহিনীই আইন হাতে তুলে নিতে পারে না। অপরাধী যত শক্তিশালী হোক, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল তৌহিদুল ইসলামের হত্যার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, এই নৃশংস ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যার ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কুমিল্লার যুবদল নেতার হত্যাকাণ্ড আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনেরই স্মারক। তিনি মনে করিয়ে দেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা এবং জনগণকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয় থেকে মুক্ত রাখা। কিন্তু যদি পুরনো নিপীড়নের ধারা বজায় থাকে, তাহলে দেশের মানুষ আবারও অনিশ্চয়তার অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেআইনি হত্যাকাণ্ড কখনো সমাজে শান্তি আনতে পারে না; বরং এটি আইনের শাসনকে দুর্বল করে এবং দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com