মোঃ জামাল হোসেন\ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে আরব শব্দটির সর্ম্পক গভীরভাবে জড়িত। আল্লাহর মনোনীত একত্ববাদী ইসলাম। যার উৎপত্তি মক্কা হেজাজ তথা আরব উপদ্বীপে। ৬ষ্ঠ শতকে আখেরী জামানার নবী মোহাম্মদ (সঃ) প্রবর্তিত ইসলাম মক্কা-মদিনা থেকে সম্প্রসারিত হয়ে কুফা দামেস্ক বাগদাদে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। পঞ্চাদশ শতাব্দীতে (১৪৯২) স্পেন পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। একহাতে তৌহিদী একত্ববাদের ঝান্ডা অন্য হাতে শাণিত কৃপাণ- মুখে আল্লাহু আকবর তাকবিরে বিধর্মীরা হয়েছে ভীতসন্ত্রস্ত কেঁপে ওঠেছে তাদের অন্তরাত্মা ভয়ে খুঁজেছে নিরাপদ আশ্রয়। মধ্যযুগ পর্যন্ত আরবদের জয় আফ্রিকা ছাড়িয়ে ইউরোপ পর্যন্ত পৌঁছেছে। অনেক জনপদে জাতীয় মাতৃভাষা আরবিতে পরিণত হয়েছে। শুধু স্পেনেই ৮শত বছর মুসলমানরা রাজত্ব করেছে। বিজয় হয়েছে আরবদের ইসলামের, ইসলামী সংস্কৃতির এবং সর্বসাকুল্যে একটি আদর্শের। আরব্য জনগণ আরবি ভাষা এবং রাসুল (সঃ) ত্রয়ী পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়েছে। ভূ-পৃষ্ঠের নাভি নামে খ্যাত মক্কা নগরী পৃথিবীর আদি ভূমি এবং প্রথম মানব বসতি। যা মূল আরব হেজাজেরই অংশ। হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত ইসমাইল (আঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত কাবা আল্লাহর ঘর মক্কায় অবস্থিত। লোহিত সাগরের কোল ঘেঁষে পূর্ব পার্শ্বে মহিমান্বিত বরকতময় স্থানে শাশ্বত চির ভাস্বর।
আরবঃ পৃথিবীতে মানব বসতির প্রথম ভাষা আরবি। আরবি ভাষার ধারণ ক্ষমতা অন্যান্য ভাষার চেয়ে অনেক বেশি। একটি শব্দের বহুবিধ অর্থ হয়। আবার একটি শব্দ রুপান্তরিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ তৈরি করে। আরব শব্দটি বাগ্মীতা এবং লতাগুল্মহীন মরুভূমি অর্থে ব্যবহ্নত হয়। মূল আরব ভূমি হচ্ছে হেজাজ। হেজাজের ‘তায়ামা’ অঞ্চলে ‘আরাবা’ নামক প্রসিদ্ধ এলাকা আছে। আরব্য ঐতিহাসিকগণ বলেন, ‘আরাবা’ নামক স্থানটি কালক্রমে ‘আরব’ নামে পরিচিত হয়। আরবি ভাষাবিদগণ বলেন, আরব শব্দটি ‘আরবাতুন’ থেকে এসেছে। কিন্তু আরব এবং ই‘রাব’ শব্দের অর্থ মার্জিত সাবলীল পান্ডিত্যপূর্ণ সুন্দর ভাষায় কথা বলা। আরবের লোকেরা অন্যান্য ভাষার লোকদের ‘আজম’ বা মূক বলত। তারা ভাবত, আরবিতে যত সহজে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়, অন্যান্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। তাদের এ দাম্ভিকতাই কালক্রমে হেজাজের অঞ্চলটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ‘আরব’ নামে পরিচিতি লাভ করে। সেমেটিক জনগোষ্ঠি মূলত হেজাজের অধিবাসী। ধারণা করা হয় সেমিটিক শব্দটি সাম শব্দের অপভ্রংশ। সাম ছিলেন হযরত নুহ (আঃ) এর বংশধর। আবার সামের আরেক প্রতিপত্তিশালী বংশধর ছিলেন ‘ইয়ারব’। তিনি হেজাজের শাসক ছিলেন। ‘ইয়ারব’ শব্দটি কালক্রমে ‘আরব’ শব্দে পরিণত হয়। আরবি ভাষাবিদগণ মনে করেন, আরবি ভাষার আবিষ্কারক ছিলেন এই ‘ইয়ারব’। তাঁর বংশধরেরা ‘আরব’ নামে পরিচিত। কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন, আরব মরুভূূূমি আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির অংশ ছিল। কালক্রমে লোহিত সাগরের উৎপত্তির মাধ্যমে আরব মরুভূমি হতে সাহারা মরুভূমি পৃথক হয়ে যায়। বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা ভূমিকম্পের ফলে ভূ-আন্দোলনে হেজাজ অঞ্চলটি তার পশ্চিম অংশ থেকে ক্রমে ক্রমে বিচ্ছিন্ন হয়। সাহারা শব্দটি ‘সারাসিন’ হতে উৎপত্তি লাভ করে। এর অর্থ হল গাছপালাহীন মরুভূমি। আবার ইসরাইলী ভাষায় (হিব্্রু) আরব শব্দটি ‘আবহার’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং ‘জাজিরাতুল আরব’ হল যারা আরবি ভাষায় কথা বলে যা ইবনে ইয়ারবের বংশধর এবং আরব উপদ্বীপের অধিবাসী। অন্যভাবে বলা যায় যাদের ভাষা আরবি, আরব বংশোদ্ভূত এবং আরব উপদ্বীপের অধিবাসী, তারাই আরব্য। অবস্থানগত দিকে আরবেরা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং অস্থায়ী তাবুতে বসবাসরত মরুচারী বেদুইন বা যাযাবর।
আরবি ভাষা ঃ বেহেস্তের ভাষা আরবি। প্রথম মানুষ আদম ও হাওয়া (আঃ) এর ভাষা ছিল আরবি। প্রথম মানুষ সৃষ্টির পর আল্লাহ তাদের আরবি ভাষা শিক্ষা দেন। বেহেস্ত থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আদম (আঃ) শ্রীলংকার ‘চুজ’ পাহাড়ে এবং হাওয়া (আঃ) জেদ্দায় অবতরণ করেন। প্রায় ৩৫০ বছর একে অপরকে খোঁজাখুঁজিতে রোনাজারি করার পর আল্লাহ তাঁেদর দো‘য়া কবুল করেন। তাঁরা আরফাতের ময়দানে একত্রিত হন। আরাফাত জেদ্দা মক্কা মদিনা এবং তায়েফ মূল আরব হেজাজে অবস্থিত। ‘জাজিরাতুল আরব’ বা আরব উপদ্বীপের মূল অংশ হেজাজ। বর্তমান সৌদী আরবের পশ্চিমাংশের কোল ঘেঁষে লোহিত সাগরের পূর্বকূলে অবস্থিত। পবিত্র কোরআন হাদিসের বণর্না ছাড়াও বিভিন্ন আরব্য পৌরাণিকে প্রথম মানব হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ)। আহলে কিতাবী (ইহুদি খৃস্টান) এবং হিন্দুদের ধর্মগ্রন্ত বেদ গীতা ও উপনিষদের বণর্নায় প্রথম মানুষ আদম এবং হাওয়া (আঃ)। কিন্তু বিধর্মী চার্লস ডারউইন বলেন, বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ বানর থেকে রুপান্তরিত হয়। যা ‘বিবর্তনবাদ থিওরী’ নামে পরিচিত। ইউরোপীয় ভাষা তাত্তি¡কেরা বলেন, মানুষ প্রথম আকার-ইঙ্গিতে হাত মুখের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করত। ভাষা শিক্ষার অনেক পরে মানুষ সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে তা লিখে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু আরবের হেজাজে প্রথম মানুষ বসবাস করার পর আরবি ভাষার অগ্রগতি শুরু হয়। আদম (আঃ) আল্লাহর নিদের্শে ফেরেশতাদের মাধ্যমে প্রথম মক্কায় কাবা শরীফ নির্মাণ করে ইবাদত এবং তাওয়াফ শুরু করেন। তাঁর পুত্র শীষ (আঃ)কে মৃত্যুর পূর্বে দায়িত্ব দিয়ে যান। তিনিও পয়গম্বর ছিলেন। নুহ (আঃ) এর সময় মহা প্লাবনের পূর্ব পর্যন্ত কাবা ঘর অক্ষত ছিল। নুহ (আঃ) জুদী পাহাড় থেকে নেমে তাঁর ছেলেদের নিয়ে পূনরায় দুনিয়ায় বসবাস শুরু করেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির মানসে নুহ (আঃ) এর পুত্র হাম পিতার অনুমতি নিয়ে পৃথিবীর দক্ষিণ দিকে বসবাস শুরু করেন। হামের ৬টি পুত্র সন্তান ছিল। প্রথম পুত্রের নাম ছিল হিন্দ দ্বিতীয় পুত্রের নাম সিন্ধু তৃতীয় পুত্র ছিল হাবাস। চতূর্থ পুত্র ছিল জানাজ পঞ্চমপুত্র বার্বার এবং ষষ্ঠ পুত্র ছিল নিউবাহ। তারা যে জন যে অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন, কালক্রমে তাদের নাম অনুসারে ঐ অঞ্চলের নাম হয়।
উল্লেখ্য যে, হযরত আদম (আঃ) হাওয়া (আঃ) ও তাঁদের পয়গম্বর দুই পুত্র শীষ ও ইদ্রিস (আঃ) এর বংশধরদের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০ হাজারে পৌঁছেছিল। কোন কোন রেওয়াতে জানা যায়, তাঁদের ১৪০ জোড়া সন্তান ছিল। তাদের সবার বসতি ছিল মূল আরবের হেজাজে। বর্তমান সৌদী আরবের পশ্চিমাংশে। পশ্চিমে লোহিত সাগর, উত্তরে জর্ডান পূর্বে নজদ এবং দক্ষিনে আসির প্রদেশের প্রধান শহর জেদ্দা। ইসলামের পবিত্র ভুমি মক্কা মদিনা এবং তায়েফ এখানেই অবস্থিত। কোন রকম উপভাষা ছাড়াই তারা আরবি ভাষায় কথা বলতেন। মহাপ্লাবেনের পর নুহ (আঃ) এর বংশধরেরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। তখন থেকে আরবি মূল ভাষা থেকে অন্যান্য ভাষাগুলোর উৎপত্তি ঘটে। আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থা পরিবর্তনের ফলে মূল আরবির বহু শব্দ অপভ্রংশ হয়ে নতুন নতুন ভাষার উদ্ভব হয়। এজন্য অনেক ভাষা পন্ডিত বলেন, আরবি ভাষা হল সকল ভাষার মাতা স্বরুপ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন অঞ্চলে ভাষার শব্দের অনেক পরিবর্তন ঘটে। ভাষার প্রচুর সমার্থক শব্দ ও পরিভাষার সৃষ্টি হয়। ফলে সেমেটিক আরবি ছাড়াও অনেক ভাষার উদ্ভব ঘটে। আবার পশ্চিমা ভাষা তাত্তি¡কেরা প্রথম মানুষ ও প্রথম ভাষাকে অস্বীকার করে বিবর্তনবাদের জোয়ারে গা ভাসিয়ে ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকারের চেষ্টা করেছেন। হযরত আদম (আঃ) হতে নুহ (আঃ) পযর্ন্ত প্রাচীন আরবির পরিশালিত একটি রুপ ধারণ করে। নুহ (আঃ) এর বংশধর সাম থেকে সেমেটিক ভাষা বা জাতি উদ্ভব হয় বলে ভাষা তাত্তি¡কেরা মনে করেন। তখন থেকে পৃথিবীতে অসংখ্য ভাষার উদ্ভব হয়। সব ভাষাতে সেমেটিক আরবির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আফ্রিকার ইথিওপিয়ার আমহারীয় ভাষা এবং ইসরাইলের হিব্্রু বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। মুল আরবির শব্দ সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশী। সে ক্ষেত্রে ইংরেজির মূল শব্দ ১ লক্ষের বেশী নয়। ফরাসি ভাষার মূল শব্দ মাত্র ৩০ হাজার। অতি প্রাচীন কাল হতে হেজাজের সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বাণিজ্য সম্পর্কীয় যোগাযোগ থাকায় অনেক শব্দের বিকৃত রুপ সন্নিহিত অঞ্চলের ভাষায় মিশে যায়। আমাদের বাংলায় অনেকটা তদ্ভব অধতদ্ভব এবং তৎসম শব্দের মত। হযরত ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহ’র নির্দেশে ইসমাইল (আঃ) ও মাতা হাজেরাকে মক্কার সাফা ও মারওয়ার পাহাড়ের পাদদেশে রেখে আসেন। মহাপ্লাবনের পর কাবা গৃহের চিহ্ন মাটির সাথে মিশে যায়। আল্লাহ তাঁদের পানির কষ্ট দুর করার জন্য ‘যমযম’ কুপের মাধ্যমে পানির কষ্ট দুর করেন। এর আগে ফেরেশতা জ্বীন সম্প্রদায় ও আমালিকা সম্প্রদায়ের লোকেরা কাবা শরীফ তাওয়াফ এবং ইবাদত করতেন। ‘যমযম’ কুপের পানির ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন করে মক্কা এলাকায় জনবসতি শুরু হয়। আল্লাহ‘হর নির্দেশে হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর পুত্র ইসমাইল (আঃ) নিশ্চিহ্ন কাবাশরীফ পুনঃ নির্মাণের কাজে হাত দেন। ইতিমধ্যে বিবি হাজেরার অনুমতিক্রমে ইয়েমেনের ‘জোরহাম’ গোত্র অত্র এলাকায় বসবাস শুরু করে। ‘জোরহাম’ গোত্রের লোকেরা আরবি ভাষায় কথা বলত। ইসমাইল (আঃ) তাদের থেকে আরবি ভাষাশিক্ষা নেন। পরবর্তীতে তিনি ‘জোরহাম’ গোত্রে বিবাহ করেন। মক্কার কাবাগৃহকে কেন্দ্র করে অত্র এলাকায় মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। তখন থেকে আরবি ভাষা সার্বজনীন রুপ লাভ করতে থাকে। আরবি হল সকল ভাষার জননী স্বরুপ। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফকে ধারণ করার ক্ষমতা ছিল একমাত্র সুপ্রাচীন আরবি ভাষাটির। আর সুযোগ্য এ ভাষাটির ধারক বাহক মোহাম্মদ (সঃ) নিজেই। যদিও তিনি নিজে লেখাপড়া জানতেন না। আরবের সম্ভ্রান্ত গোত্রের নিয়মানুসারে মোহাম্মদ(সঃ)কে হেজাজ অঞ্চলের সবচেয়ে শুদ্ধ প্রাঞ্জল আরবি জানা সা‘দ গোত্রে শিশু অবস্থায় লালিত পালিত হন।
মোহাম্মদ (সঃ) ঃ সর্বকালের সেরা মহামানব মোহাম্মদ (সঃ) সকল পয়গম্বরের সর্দার সা‘দ গোত্রের ধাত্রী দুধ মাতা হালিমা সাদিয়া তাঁর নিজের অন্যান্য সন্তানের মত খুব ¯েœহ করে। লালন-পালনের সাথে সাথে সবচেয়ে বিশুদ্ধ আরবিতে কথা বলা শিক্ষা দেন। তিনি যদি কোন প্রাতিষ্ঠানিক মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহন করতেন, মক্কার কোরাইশরা বলত, মোহাম্মদ (সঃ) শিক্ষিত বলে নিজের বানানো বুলি আল্লাহর কালাম বলে প্রচার করছে। তখন নিজেকে পয়গম্বর দাবী এবং বিশুদ্ধ প্রাঞ্জল আরবিতে কথা বলা সম্ভব হত না। তাঁর প্রচারিত বার্তা যে আল্লাহ হতে উৎসারিত এবং তিনি যে সত্য পয়গম্বর এটাই তাঁর বড় প্রমাণ। তিনি ছিলেন আরবি ভাষার একজন বড় বাগ্মী। এজন্য বিরোধী কাফেরেরা তাঁকে কবি জাদুকর পাগল বলত। মোহাম্মদ (সঃ) সদা সর্বদা বিনয়ী নম্্র ও হাস্যেজ্জ্বল মুখাবয়বের অধিকারী ছিলেন। শুদ্ধ প্রাঞ্জল মার্জিত চিত্তাকর্ষক আরবিতে কথা বলতেন। তিনি জীবনে কোন দিন কারো সাথে ঝগড়া বা অভিমান করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ কোন দিন দিতে পারবে না। কোন শব্দভূক পদ্য বণিকের পক্ষে রাসুল (সঃ) এর অঙ্গাবয়বের লাবণ্য বিশেষণে সংজ্ঞায়িত করতে পারেননি। যে একবার মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছে সেই দৃষ্টি দীঘায়িত অপলক দৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে। তিনি কারো সাথে কোন দিন খুনসুটি করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন রাসুল (সঃ) এর সাথে যে একবার বাক্যালাপ করেছে, সে বিমোহিত হয়েছে বিগলিত কঠিন হৃদয়। এটা তাঁর পয়গম্বরী জীবনের সবচেয়ে বড় মোজেজা। একত্ববাদের অপলাপ কখনো তিনি করেননি। সত্য ন্যায় সঙ্গত দ্বীনই তিনি প্রচার করেছেন। সত্য চির ভাস্বর শাশ্বত সমুজ্জ্বল। মিথ্যার আস্ফালন অস্থায়ী ক্ষণভঙ্গুর। তিনি ছিলেন বিশুদ্ধ মার্জিত আরবি ভাষার ধারক ও বাহক। তাই আরব্য জাতি আরবি ভাষা এবং মোহাম্মদ(সঃ) ত্রয়ী যেন একই সূত্রে গ্রথিত।
লেখকঃ শিক্ষক, ফুলগাঁও ফাযিল (ডিগ্রি) মাদরাসা, লাকসাম, কুমিল্লা
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com