ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪টি প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। এছাড়া বন্যায় জেলায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯শে আগস্ট) সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে- সদর উপজেলার ২ জন, বুড়িচংয়ের ৪ জন, তিতাসে ২ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, মনোহরগঞ্জে ৩ জন, লাকসামে ৩ জন, মুরাদনগরে একজন ও ব্রাহ্মণপাড়ার একজন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার এক উপজেলা থেকে পানি নামলেও প্লাবিত হচ্ছে আরেক উপজেলা। যদিও আগের থেকে পানির পরিমাণ কমেছে। এখনও পানিবন্দি রয়েছেন বহু মানুষ।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, কুমিল্লায় বন্যার্তদের জন্য ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, বুড়িচং উপজেলা সদর ও পশ্চিমসিংহ এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে হাসিবুল (১০) ও ইব্রাহিম (৪) নামে ২ শিশুর মৃত্যু হয়। নাঙ্গলকোট উপজেলার গোরকমুড়া এলাকায় সেরাজুল এবং রাতে মনোহরগঞ্জের মির্জাপুর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম জানান, লাকসাম উপজেলার আউশপাড়া বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান মাকসুদা বেগম (৫৫) নামে এক নারী।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com