নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার ৫ উপজেলায় খাদ্য গুদাম না থাকায় বিপাকে আছেন প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলাগুলো হচ্ছে- মনোহরগঞ্জ, লালমাই, সদর দক্ষিণ, তিতাস ও মেঘনা। ধান বিক্রি করতে গুদাম আছে এমন উপজেলায় যেতে গিয়ে তাদের। ফলে লাভের অর্থ প্রায় পুরোটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে পরিবহন ব্যয়ে। এতে সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে সরকারের প্রণোদনা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
ধান উৎপাদনে দেশের গুরুত্বপ‚র্ণ জেলা কুমিল্লা। আউশ, আমন ও বোরো এই ৩ মৌসুমেই ধান চাষে ব্যস্ত থাকেন এখানকার কৃষকরা। কৃষকের স্বার্থে সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট দামে ধান-চাল সংগ্রহ করে থাকে। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে জেলার ১১ হাজার ৫৮৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। তবে সংশ্লিষ্ট ৫ উপজেলায় গুদাম না থাকায় সেখানকার কৃষকরা ধান দিতে পারেননি।
খাদ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৭ উপজেলার মধ্যে কেবল এই ৫ উপজেলায় কোনো সরকারি খাদ্য গুদাম নেই। এতে কৃষক যেমন সমস্যায় পড়ছেন, তেমনি খাদ্য বিভাগকেও ধান সংগ্রহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যেমন- লালমাই উপজেলায় ৫২৭ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২৭ মেট্রিক টন। বাকি ধান সংগ্রহ করতে হয়েছে পাশের উপজেলার কৃষকের কাছ থেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গুদাম না থাকায় কৃষকরা পরিবহন খরচ এড়াতে বাজারে ধান বিক্রি করছেন। এতে সুযোগ নিচ্ছেন ফড়িয়ারা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির খান বলেন, গুদাম না থাকায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে অনাগ্রহী হচ্ছেন। এতে তারা যেমন প্রণোদনা হারাচ্ছেন, তেমনি ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু বলেন, কৃষকের সুবিধা ও ধান সংগ্রহের কার্যক্রম সহজ করতে এই ৫ উপজেলায় নতুন গুদাম নির্মাণে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রæতই এটি অনুমোদন হবে।
কৃষকরা বলছেন, স্থানীয় পর্যায়ে গুদাম নির্মাণ হলে তারা পরিবহন ব্যয় থেকে মুক্তি পাবেন এবং সরকারি দামে ধান বিক্রি করে প্রণোদনার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে কুমিল্লার এই ৫ উপজেলায় খাদ্য গুদাম নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com