ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবাসিক হলগুলোও বন্ধ থাকবে। শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন এবং উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির দ্ব›েদ্বর মধ্যেই গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদ উল্লা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, আলাপ-আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি কমিটি গঠন করা হবে। একটি শিক্ষকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে এবং অন্যটি ২৮ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তের জন্য। আবাসিক হল কেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, উপাচার্য দাবি করেছেন আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকেছে। শিক্ষার্থীদের টাকা দেয়া হচ্ছে। এতে এখানে অন্য রকম ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান না করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন উপাচার্যের বিরুদ্ধে গেছেন তখন তাঁর নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তাঁর প্রশাসনের সব সহকর্মীই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন, তাঁর পতন শুধুই সময়ের ব্যপার৷তাই তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করছেন।