শরীফ আহমেদ মজুমদার\ নাঙ্গলকোট উপজেলার শাকতলী বাজার থেকে তুগুরিয়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের উত্তর পাশে ভোলাইন খালটি ২ ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করে রেখেছে। খালটি আদ্রা উত্তর ও আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নকে বিভক্ত করেছে। খালের উত্তর পাশে আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন দক্ষিণ পাশে আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাকতলী-তুগুরিয়া থেকে মনোহরগঞ্জের সাতেশ্বর-মুন্সীরহাট হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পতিত হয়। তুগুরিয়া থেকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, লাকসাম থেকে তুগুরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই খাল।
ব্রিটিশ আমলে খালটি ভেরল্লা খাল নামে পরিচিত ছিল। একসময় শাকতলী -তুগুরিয়া খাল, পরে ভোলাইন খাল নামে পরিচিত প্রায় ৬.২ কিলোমিটার খালটিতে আরসিসি পিলার করে প্রভাবশালী মহল দখল করে শাকতলী, আলীগঞ্জ বাজার, বরইয়ারটেক, ভোলাইন পর্যন্ত ৫ শতাধিক দোকানপাট বানিজ্যিক ভবন নির্মাণ করেন। এতে এলাকার ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা আটকে গিয়ে দূষিত হয়।
টানা বৃষ্টিতে পানি জমে শাকতলী, গোরকাটা,মোল্লাপাতান, ভোলাইন, আদ্রা, মগুয়া, হিড়াজোড়া, মেরকট গ্রামসহ আশে পাশের গ্রামের সদ্য রোপণকৃত কৃষকের শতশত একর জমির আমন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
আদ্রা গ্রামের কৃষক মফিজুর রহমান (৬৩) বলেন, ৩টি ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল এটি। খালের উপর আরসিসি পিলার দিয়ে মার্কেট নির্মাণ করার ফলে টানা বৃষ্টিতে পানি জমে তলিয়ে গেছে শতশত একর জমির ফসল। খালটি দখল মুক্ত করে খনন করার দাবী জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক বলেন, খালটি ৮-১০ বছর থেকে দখলে রেখেছেন। এর পরও আমি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com