ষ্টাফ রিপোর্টার\ ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে শত্রুমুক্ত হতে থাকে একের পর এক এলাকা। রণাঙ্গনে তখন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। হায়েনার থাবা থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে পরিপূর্ণভাবে মুক্ত করতে তারা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন। নানা প্রান্তে চলতে থাকে সম্মুখ লড়াই। অর্জিত হয় একের পর এক সাফল্য। সব জায়গাতেই পরাজয়ের মুখে পিছু হটছিল পাকিস্তানি বাহিনী। বিজয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় বীর বাঙালি। শত্রুদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে তারা এ মাসেই ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
৭ই ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শত্রুমুক্ত করে। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আসতে থাকে বিজয়ের খবর। আর মিত্র বাহিনী মুক্ত করে সিলেট শহরকে। ঝিনাইদহ ও মৌলভীবাজারও এদিন মুক্ত হয়। যৌথ বাহিনী চান্দিনা ও জাফরগঞ্জ অধিকার করে। কুমিল্লা ও লাকসামে তুমুল যুদ্ধ হয়। এদিকে ভারত ও ভুটানের স্বীকৃতিতে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সশস্ত্র যুদ্ধের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধে পরাজয়ের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তান সামরিক শাসকরা।
আকাশবাণী থেকে হিন্দি, উর্দু ভাষায় জেনারেল মানেকশ বাংলাদেশে দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের বাঁচার কোনো পথ নেই। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য তোমাদের ঘিরে রেখেছে। তোমরা যে নিষ্ঠুর আচরণ করেছ, তারা তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। অনেক দেরি হওয়ার আগেই তোমরা আত্মসমর্পণ করো।’ আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকেও বাংলা সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সকাল-সন্ধ্যায় যুদ্ধের খবরাখবর, দেশাত্মবোধক গান ও চরমপত্র প্রচার করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com