আবদুল গাফফার সুমন\ গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠ। পরিষদের মাঠ জুড়ে মলমূত্র পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। গোটা এলাকায় ছেড়ে দেয়া নিয়ন্ত্রণহীন এসব গরু-ছাগল নষ্ট করছে জমির ফসল ও বাড়ির গাছপালা- এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, অন্তত ২০/৩০টি গরু-ছাগল মাঠে অবাধে বিচরণ করছে। মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করায় নষ্ট হচ্ছে মাঠের সৌন্দর্য। উপজেলার লৎসর, চড্ডা, দুর্গাপুর, হাটিরপাড়, ঝলম, সালেপুর, তাহেরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০ জন কৃষক জানান, গবাদি পশুর অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পেতে বোনা আমন আবাদ ছেড়ে দিয়েছেন তারা। লাগামহীনভাবে ছেড়ে দেয়া এসব গরু-ছাগল আটক করে খোয়াড়ে দেয়ার অথবা জরিমানার বিধান থাকলেও বর্তমানে এর কার্যকারিতাও তেমন নেই উল্লেখ করে তারা গরু-ছাগলের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বলেন, শুধু উপজেলা পরিষদ মাঠ নয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি মাঠে এদের অবাধ বিচরণ চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন কয়েকশ’ গরু-ছাগল এভাবে ছেড়ে দেয়া হয়। গলায় রশি না থাকা এসব গবাদি পশু গিয়ে উঠে ফসলি জমি, মাঠে ও মানুষের বাড়িতে। ছেড়ে দেয়া এসব গরু-ছাগল খেয়ে ফেলে মানুষের বাড়ির গাছপালা ও জমির ফসল। মানুষের অনিষ্ঠের তোয়াক্কা না করে গবাদি পশুর মালিকেরা গোয়াল ঘরে না রেখে লাগামহীনভাবে এসব গরু-ছাগল ছেড়ে দেয়ায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মমিনুর রহমান বলেন, গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হতে পারে এমনভাবে গরু-ছাগল ছেড়ে দেয়া ঠিক নয়। গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ফসলি মাঠে গরুর অবাধ বিচরণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফসলি জমিতে গরুর অবাধ বিচরণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, গরু-ছাগলের এমন অবাধ বিচরণ মানুষের অনিষ্ঠের পাশাপাশি পরিবেশও দূষণ হচ্ছে। গবাদি পশুর বিচরণ বন্ধে সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি এসব গবাদি পশু যেন মানুষের অনিষ্ঠ না করে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। উপজেলা পরিষদ মাঠে গরু-ছাগল বিচরণ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদের বিচরণ বন্ধে আনসার সদস্যরা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। মানুষের ফসল ও পরিবেশ রক্ষায় বিঘœ ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com