দেশে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা। তবে ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার তেলের যে পরিমাণ দাম বাড়ানোর দাবি করেছেন, সরকার তাতে রাজি নয়। সরকার আংশিকভাবে দাম সমন্বয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারদর ও প্রস্তাবিত মূল্য যাচাই করেছে। এখন মন্ত্রণালয় প্রতি লিটারে কত টাকা বাড়ানো হবে, তার চূড়ান্ত হিসাব করছে।
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান জানান, “কারখানার মালিকেরা যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। দাম বাড়তে পারে, তবে কতটা বাড়ানো হবে তা হিসাব করা হচ্ছে।”
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। এতে বাণিজ্যসচিব, বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান এবং বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কেউ কোনো বক্তব্য দেননি।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে উল্লেখ করে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারীরা লিখিতভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে গত রোববার বিটিটিসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক হয়। তার ধারাবাহিকতায় সোমবারের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একত্র হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারদর, বিটিটিসির ফর্মুলা ও ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে ভোজ্যতেলের দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মালিকপক্ষ সয়াবিন ও পাম উভয় তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের দাবি, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১,২০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com