ষ্টাফ রিপোর্টার\ ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন ছেলে হামিদুল হক সোহেল। আর মেয়ে তাসলিমা আক্তার সুমি কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনে। তারা দু’জনই তাদের মাকে একাধিকবার মেরেছেন এবং ঘর থেকে বের করেও দিয়েছেন।
ঢাকার কাফরুলের উত্তর ইব্রাহিমপুরের একটি জমি নিয়ে মূলত মা ও সন্তানদের মধ্যে দ্ব›দ্ব। ওই বাড়িটি তাদের বাবা মারা যাওয়ার পর তারা নিতে চান। যদিও মায়ের ভরণপোষণের কোনো দায়িত্ব ছেলেমেয়ে নিচ্ছেন না। উপরন্ত, এই সম্পত্তি দখল নিয়েই মায়ের সঙ্গে দ্ব›েদ্ব জড়ায় দুই সন্তান ও মেয়ের জামাই।
সন্তানদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন খুরশিদা খাতুন। ছেলে আর মেয়ে আগাম জামিন আবেদন করেছেন হাইকোর্টে। তাদের জামিন ঠেকাতে মাও এসে আদালতে হাজির হয়েছেন।
গত রোববার বিচারপতি রেজাউল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে আকুতি জানান, তাদের সন্তানদের জামিন না দিতে। তিনি বলেন, ‘স্যার আমার সন্তানদের জামিন দিয়েন না, স্যার ওরা আমাকে মারধর করে, স্যার ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, ওদের জামিন দিয়েন না।’
ভুক্তভোগী নারী খুরশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ৫ লাখ টাকার মতো ওরা নিয়ে গেছে। আমার মুখেও মারছে। আমি কোথাও যাই না, আমার পিছে লোক রেখে দিছে।’
অথচ, বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না খুরশিদা খাতুন। সন্তানদের মারধরের ভয় তার চোখেমুখে। সন্তানদের নির্যাতনের ভয় তাড়া করছে তাকে, তাই জামিন ঠেকাতে কোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন এই নারী।
ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী জসিম উদ্দিন বিজ্ঞ আদালত বলেছেন যে, আজকে যদি এদের জামিন দেয়া হয়, তা হলে সমাজে একটা খারাপ মেসেজ যাবে এবং মায়েদের প্রতি নির্যাতন আরো বেড়ে যাবে। এই যে মাকে মেরেছে তার জন্য মহামান্য আদালত সন্তানদের প্রতি ভর্ৎসনা দিয়েছে এবং নামঞ্জুর করেছেন তাদের জামিন আবেদন। সৌজন্যে: যুগান্তর
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com