কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও হতাহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
একই সঙ্গে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির নৃশংস হামলার বিচার এবং প্রকৃত দোষীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে সংগঠনটি।
শনিবার বিকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ গণসমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে আহত ও নিহতদের পরিবারের স্থায়ী পুনর্বাসন এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানান হেফাজতের নেতারা।
গণসমাবেশে হেফাজতের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শাহাদতবরণকারীদের মাগফিরাত কামনা করেন। আহতদের সুচিকিৎসায় সরকার ইতোমধ্যে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মাহফুজুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাগুলোর নামকরণের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষ কর্তৃক নিজেদের কাঁধে তুলে নেওয়া সমিচীন নয়। এ বিষয়ে যেকোনো অভিপ্রায় কিংবা গণআকাঙ্ক্ষা প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপন করা যেতে পারে। তিনি সর্বস্তরের জনগণ, নেতাকর্মী ও আলেম সমাজকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব মধুপুর), ড. আহমাদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com