ষ্টাফ রিপোর্টার: দেশব্যাপী গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকারিভাবে প্রদত্ত যেসব সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাদের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যাচাই বাছাই শেষে কার্ড ‘পুনর্বিবেচনা’ করার কথা জানিয়েছেন তথ্য অধিদপ্তর।
গত বৃহস্পতিবার (১৯শে ডিসেম্বর) তথ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয় যে, কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদপ্তর আরো জানান যে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদফতর কর্তৃক যোগ্যতা সম্পন্ন সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের পর অধিদফতর থেকে কিছু সংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এসব কার্ড বাতিলের কারণ হিসেবে তখন অধিদফতর থেকে বলা হয়েছিল যে, দীর্ঘদিন পর্যন্ত কার্ড নবায়ন না করা, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোটার অতিরিক্ত কার্ড গ্রহণ করা, অপসাংবাদিকতা করা, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা, ফৌজদারি মামলার আসামি হওয়া, বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার ও কারা অন্তরীণ থাকা, অপেশাদার ব্যক্তি কর্তৃক রাজনৈতিক বিবেচনায় কার্ড গ্রহণ করা, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাচার ও প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের অপব্যবহার করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতিবাচক ভূমিকা ও উসকানি প্রদান এবং ফ্যাসিবাদের ঘনিষ্ঠ দোসর থাকা, গুজব রটনা করা ইত্যাদি কারণ সমূহ বিবেচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন দফায় মোট ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছিলো। এতে করে গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ ব্যাপারে সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢালাওভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের অন্তরায় বলে মনে করছে সম্পাদক পরিষদ। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়াদের তালিকায় অনেক পেশাদার ও সক্রিয় সাংবাদিক এবং সম্পাদকের নামও রয়েছে, যা সম্পাদক পরিষদ ও এর সদস্যদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
এছাড়া, গণমাধ্যমের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে গত বুধবার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিক শেখ মো. রিজভী নেওয়াজ হাইকোর্টে একটি রিট করেন। যার শুনানি শেষে আদালত রিজভী নেওয়াজের স্থায়ী অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল কেন বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। এর এক দিন পর গত বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তর থেকে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান একটি চলমান প্রক্রিয়া। সম্প্রতি নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের পর অধিদপ্তর থেকে কিছু সংখ্যক অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
তথ্য অধিদফতর সাংবাদিকদের বাতিলকৃত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো পেশাদার সাংবাদিক তার কার্ড বাতিলের বিষয়টি ন্যায়সঙ্গত মনে না করলে তিনি তা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারবেন। তথ্য অধিদফতর সেসকল আবেদন পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। Ref: channelionline/ ekattor.tv
সম্পাদক ও প্রকাশক:
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া
সহযোগী সম্পাদক: তোফায়েল আহমেদ
অফিস: সম্পাদক কর্তৃক আজমিরী প্রেস, নিউমার্কেট চান্দিনা প্লাজা, কুমিল্লা থেকে মুদ্রিত ও ১৩০৭, ব্যাংক রোড, লাকসাম, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত। ফোন: ০২৩৩৪৪০৭৩৮১, মোবাইল: ০১৭১৫-৬৮১১৪৮, সম্পাদক, সরাসরি: ০১৭১২-২১৬২০২, Email: laksambarta@live.com, s.bhouian@live.com