বুধবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমেরিকায় প্রবেশকালে বিদেশী শিক্ষার্থী আর সাংবাদিকদের ওপরেও কড়াকড়ি আরোপ হচ্ছে

আমেরিকায় প্রবেশকালে বিদেশী শিক্ষার্থী আর  সাংবাদিকদের ওপরেও কড়াকড়ি আরোপ হচ্ছে
Views

            যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষ সংবাদদাতা প্রেরীত\ আমেরিকায় প্রবেশকালে ইদানিং বিদেশী শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপরেও অনেক নজরদারি চলছে। অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি বৈধভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন- সেই সব বিদেশি শিক্ষাথী ও সাংবাদিকদের ওপরেও কড়াকড়ি আরোপের মাত্রা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রস্তাবিত এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের অবস্থানের সময়ও কমে গেছে। গত ২৭শে আগস্ট বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে।

            প্রস্তাবিত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ভিসায় বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রে ৪ বছরের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। আর বিদেশি সংবাদিকরা ভিসা নিয়ে দেশটিতে অবস্থান করতে পারবেন মাত্র ২৪০ দিন। যদিও তারা বাড়তি আরো ২৪০ দিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার আবেদন করতে পারবেন। তবে চীনের সাংবাদিকেরা ব্যতিক্রম। তারা শুধু ৯০ দিনের জন্যেই ভিসা পেয়ে থাকবেন।

            এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং বিদেশি সাংবাদিকরা তাদের নির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারছেন। যদিও অভিবাসী নন, এমন কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বছরের বেশি অবস্থানের জন্য ভিসা দেয় না মার্কিন সরকার।

            মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সাম্প্রতিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, তারা অনির্দিষ্টসংখ্যক এমন বিদেশি শনাক্ত করতে পেরেছে- যারা নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে চলেছেন। এর উদ্দেশ্য, তারা যেন শিক্ষার্থী হিসেবে ‘চিরদিন’ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যেতে পারেন। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রশাসনগুলোর ওপর দায় চাপিয়েছে দফতরটি।

            এ প্রসঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ভাষ্য অনুযায়ী, ওই বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করছেন এবং মার্কিন করদাতাদের দেয়া অর্থে ভাগ বসাচ্ছেন। যদিও তারা কীভাবে ভাগ বসাচ্ছেন, তার ব্যাখ্যা দেয়নি মার্কিন দফতরটি। ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মার্কিন অর্থনীতিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ এসেছিল বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে। তৎকালীন সময়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১১ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এটি ছিল বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বড় বেশি। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন, দেশটির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিত্বকারী জোট অ্যালায়েন্স অব হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন। এমনটি শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর একটি বড় বাধা বলেই তারা উল্লেখ করেছেন।

Share This

COMMENTS