বুধবার, ১৩ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আরপিও সংশোধনে নির্বাচন বাতিলে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি, ‘না’ ভোটের প্রস্তাব

আরপিও সংশোধনে নির্বাচন বাতিলে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি, ‘না’ ভোটের প্রস্তাব
১১ Views

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। প্রস্তাবিত সংশোধনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের ক্ষেত্রে কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত হলে কোনো আসনের ভোট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ইসি পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি ২০২৫ এবং সংশোধিত আরপিও খসড়া অনুমোদন হয়। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান—আগে বাতিল বা স্থগিত করার ক্ষমতা সীমিত ছিল, এখন তা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে কমিশন এক বা একাধিক আসনের নির্বাচন বাতিল বা স্থগিত করতে পারবে।

‘না’ ভোটের প্রস্তাব
প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে—যদি কোনো আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকেন, তবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন না। ভোটে তার বিপক্ষে ‘না’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। যদি ‘না’ বেশি ভোট পায়, তবে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে না; প্রার্থীকে নির্বাচিত ধরা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইভিএম প্রসঙ্গ
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব ধারা খসড়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তি ও তদন্ত প্রক্রিয়া আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক প্রবেশাধিকার
ইসির অনুমতিপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা ভোটকেন্দ্র ও ভোট গণনায় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সময় থাকতে হবে; মাঝপথে বের হওয়া যাবে না।

অন্য প্রস্তাবগুলো

  • সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী ঘোষণার বিধান বাতিল।

  • নির্বাচনী প্রচারে আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ, তবে ডিজিটাল বিলবোর্ডে আলোর ব্যবহার অনুমোদিত।

  • প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের অডিট আরও নির্দিষ্টকরণ।

  • রাজনৈতিক দলের অনুদানের সীমা উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ লাখ টাকা, ব্যাংক লেনদেন ও ট্যাক্স রিটার্নে উল্লেখ বাধ্যতামূলক।

  • তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী কর্মকর্তা বদলিতে ইসির ক্ষমতা বৃদ্ধি।

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপবাদ ছড়ানোয় প্রার্থী, দল, গণমাধ্যম ও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান।

Share This