কুমিল্লার নিমসার বাজারে আলুর আড়তে টাস্কফোর্সের অভিযান


নিজস্ব প্রতিনিধি\ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা বাজার কুমিল্লার নিমসার বাজারে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স এর অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গত সোমবার সকালে টাস্ক ফোর্স নিমসার পাইকারী বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম মনিটরিং করেন। এ সময় তারা খুচরা বাজারের সাথে পাইকারি বাজারে আলুর দামের তারতম্য বের করতে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। কয়েকটি দোকানে পাইকারি দামে পণ্যের ক্রয় ভাউচার না থাকায় তাদেরকে জরিমানা করা হয়।
দেখা গেছে, পাইকারি আলু সর্বনিম্ন দাম ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা। যা খুচর বাজারে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। সম্প্রতি আলুর দাম নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ায় টাস্ক ফোর্স এই অভিযান পরিচালনা করে। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বেশি দামে কেনা হওয়ায় খুচরা দাম বেশি রাখতে হচ্ছে। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বাজারে আলু সরবরাহ কম, সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল নূর আশেক জানান, আলু কেনার ভাউচার দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টাস্কফোর্সে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন কর্মকর্তার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম জানান, অভিযানে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ক্যাব ও ছাত্র প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় টাস্কফোর্স টিমের সদস্যরা বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ক্রয় ভাউচার যাচাই করেন ও বিক্রয়ের তথ্য পর্যালোচনা করেন। বিশেষভাবে আলুর ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদের তথ্যাদি যাচাই বাছাই করেন। অনিয়ম পাওয়া যাওয়ায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে জরিমানাও করা হয়। ক্রয়ের ভাউচার দেখাতে না পারা ও বেশি দামে আলু বিক্রয় করায় কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মেসার্স নিউ ইসলামিয়া বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স মান্নান এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স আবুল হোসেন ট্রেডার্সকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদের সতর্ক করা হয়। ক্রয়ের পাকা ভাউচার সংরণ করতে বলা হয় এবং বিক্রয়ের ভাউচার প্রদান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। ভবিষ্যতে আইন অমান্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের মনিটরিং কার্যক্রম নিয়মিত চলমান থাকবে।