মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গণভোটের সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা : আসিফ নজরুল

গণভোটের সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা : আসিফ নজরুল
৩১ Views

গণভোটের সময়সূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যেই তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেন, “গণভোটের সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টাই নেবেন। আমরা সহযোগিতার জন্য আছি, সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তি বা দল নেবে না—এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, গণভোটের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ এখন তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছেছে। “২৭০ দিন ধরে আলোচনার পরও দলগুলোর মধ্যে এমন অনৈক্য হতাশাজনক,” মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।

গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয়। সেখানে জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়।

জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং তার আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। অপরদিকে বিএনপির দাবি, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে হবে—এর বাইরে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই।

বিএনপি আরও অভিযোগ করেছে, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন–সংক্রান্ত সুপারিশে অনেক নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে, যা দলগুলোর স্বাক্ষরিত মূল সনদের বাইরে।

রাজনৈতিক দলগুলোর এই মতপার্থক্য প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “দলগুলোকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে আলোচনার জন্য। তবুও তারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন ওঠে—তারা জুলাইয়ের চেতনা কতটা ধারণ করছে। সরকারকে যদি তারা তাদের দলীয় অবস্থান গ্রহণে বাধ্য করতে চায়, তাহলে তা ঐকমত্যের অভাবেরই প্রমাণ।”

জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন–সংক্রান্ত অনৈক্যের প্রভাব পড়বে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যে যা-ই বলুক, আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করব। আমরা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ।”

তিনি আরও যোগ করেন, “নির্বাচিত সংসদের সংস্কারের সব দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। সরকার যতটা সম্ভব করবে, তবে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

Share This