বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চৌদ্দগ্রামে কালভাট নির্মাণে ধীরগতির কারনে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য জনগন

চৌদ্দগ্রামে কালভাট নির্মাণে ধীরগতির কারনে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য জনগন

১৪৪ Views

নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সদরে দু’সড়কের মাঝখানে নির্মাণাধীন কালভার্টের কাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকারে পৌঁছেছে। জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ২ মহাসড়কের মাঝখানে কালভার্ট দিয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রী, গোমারবাড়ি, রামরাগ্রাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে। কালভার্টটি পুরাতন হওয়ায় ভেঙ্গে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের লক্ষ্যে জানুয়ারি মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ। এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ করে বর্ষাকালে বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীর কারণে গত ১০ মাস কালভার্টটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে উপজেলা সদরের বালিকা বিদ্যালয়ের ১২শ’ ছাত্রী ও গোমারবাড়ি রামরাগ্রামের জনগণের চলাচলের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত কালভার্টটি পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে ছিল। এ অবস্থায় জানুয়ারি মাসে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের লক্ষ্যে পুরাতনটি ভেঙে ফেলে।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারটি কাজ মিলিয়ে একটি প্যাকেজ। তার মধ্যে চৌদ্দগ্রাম বাজারের বালিকা বিদ্যালয় সামনে ২ সড়কের মাঝখানে সড়ক সংস্কারসহ কালভার্টটি নির্মাণে ৩৬ লাখ টাকা চুক্তিতে টেন্ডার পায় মুন্সিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন পাটোয়ারীর মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ। কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু করে আগামী বছরের ২৭শে জুন শেষ হওয়ার নিয়ম ছিল।

অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খামখেয়ালি কারনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা কালভার্ট নির্মাণ পিডির সাথে আলোচনা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজকে কালভার্ট নির্মানে ২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।

স্থানীয় মোতালেব হোসেন বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কালভার্টটি নির্মাণে ধীরগতি কারণে আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে আবার আসতে হয়। বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও কাজ হচ্ছে না।

ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুই স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকি নিয়ে অনেকটা রাস্তা ঘুরে তাদের চলাচল করতে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে কালিকসার গামের নুর জাহান বেগম বলেন, কালভার্টের কাজ বন্ধ থাকার কারনে সোজা পথ অনেকটা ঘুরে আসতে হয়।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কালভার্টির কাজ দ্রæত শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রæত সমাধান করা হবে।

পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন শাহ বলেন, কালভার্টি নির্মাণে ধীরগতির কারনে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে দ্রæত কাজ শেষ করার জন্য।

Share This