বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজানের ফজিলত ও করণীয় আমলসমূহ

তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজানের ফজিলত ও করণীয় আমলসমূহ
৫৬ Views

            ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ\ ইবাদতের বিশেষ মৌসুম মাহে রমজান মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। রমজানের প্রধান ইবাদত ‘সিয়াম’ বা রোজা রাখা। রমজানের মূল প্রতিপাদ্য ‘আল-কোরআন’। কোরআন নাজিলের মাস রমজান। রমজানে একটি ফরজ এক মাস রোজা রাখা; দু’টি ওয়াজিব সদকাতুল ফিতর প্রদান করা ও ঈদের নামাজ আদায় করা; পাঁচটি সুন্নত- সেহরি খাওয়া, ইফতার করা, তারাবিহ পড়া, কোরআন করিম তেলাওয়াত করা ও ইতেকাফ করা।

            পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন রহমত, মধ্য ১০ দিন মাগফেরাত এবং শেষ দিন হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির। অন্যান্য মাস অপেক্ষা রমজান মাসের শ্রেষ্ঠত্বের বড় কারণ এ মাসেই বিশ্বমানবতার মুক্তি সনদ পবিত্র আল-কোরআন নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, রমজান সেই মাস যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাসটি পাবে সে এ মাসের রোজা রাখবে।

            এ মাসেই এমন একটি রাত রয়েছে যাকে বলা হয় লাইলাতুল কদর বা সৌভাগ্যর রজনী। হযরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবিজি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি আমল জীবনে কখনো ছাড়েননি। সেগুলো হলো- তাহাজ্জুদ নামাজ, আইয়ামে বিজের রোজা এবং রমজান মাসের ইতেকাফ। তিনি প্রতি বছর ১০ দিন ইতেকাফ করতেন আর জীবনের শেষ বছর ২০ দিন ইতেকাফ করেছেন।

            রমজান মাস। আরবি মাসসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। দীর্ঘ দু’টি মাসের নিরন্তর দোয়া ও প্রার্থনা ছিল- ‘হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান আমাদের নসিব করুন!’ এই দোয়া কবুল হলো। এ বছর তা আমাদের জন্য বাস্তবে পরিণত হলো।

            হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন রমজান মাস আসে তখন বেহেশতের দরজা খুলে দেয়া হয় দোজখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়; শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়।

            রোজার প্রতিদান: বুখারি শরিফে বর্ণিত হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার অতীতের গুণাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।

            হয়রত আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, সিয়াম এবং কোরআন হাশরের ময়দানে বান্দা-বান্দির জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহ তাআলা তাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন।

            হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরও বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন, প্রত্যেক বস্তুর জাকাত রয়েছে তেমনি শরীরেরও জাকাত আছে আর শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা পালন করা। অর্থাৎ জাকাতদানে যেভাবে মালের পবিত্রতা অর্জন হয় তেমনি রোজা পালনের মাধ্যমে শরীর পবিত্র হয় গুণাহ মুক্ত হয়।

            হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মানুষের প্রত্যেক আমলের সওয়াব ১০ গুণ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা এ নিয়মের ব্যতিক্রম; কেননা, তা বিশেষভাবে আমার জন্য আমি স্বয়ং তার প্রতিদান দেব; বান্দা তার পানাহার ও কামনা-বাসনাকে আমার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করেছে।

            তারাবিহ নামাজ: এশার নামাজের (ফরজ ও সুন্নতের) পর বিতরের আগে দুই রাকাত করে মোট ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। সম্ভব হলে খতম তারাবি আদায় করতে হবে।

            রোজাদারের জন্য জান্নাতের বিশেষ দরজা: হযরত সাহল বিন সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররা প্রবেশ করবেন। অন্যরাও এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইবে। কিন্তু রোজাদার ছাড়া অন্য কাউকে এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

            রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দ রয়েছে একটি তার ইফতারের সময় অপরটি হলো আল্লাহ তাআলার দিদার বা সাক্ষাতের সময়। হাদিসে আরও উল্লেখ রয়েছে ইফতারের সময় দোয়া কবুলের সময়। আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করেন। আর এই সময়ের দোয়া হচ্ছে-

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিয়াত কুল্লা শাইয়িন আনতাগফিরা লিজুনুবি।’

            লাইলাতুল কদর: লাইলাতুল কদর হচ্ছে এক মনে একটি রাত, যে রাতে জেগে ইবাদত-বন্দেগি করলে এক হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে। এক হাজার মাসের হিসাব করলে কদরের এক রাতের ইবাদত ৮৬ বছর ৪ মাসের সমান। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তার চেয়েও বেশি বা উত্তম বলেছেন।

            যে ব্যক্তি কদরের রাতে সওয়াবের আশায় ইবাদত করবে তার অতীতের গুণাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়শা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি যদি কদরের রাত পাই তাহলে আমি কী দোয়া পড়ব? রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফুআন্নি’ এই দোয়া পড়বে।

            হাদিসে আছে তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখ) শবেকদর তালাশ করবে।

            ইতিকাফ: আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- ‘ওয়া আনতুম আকিফুনা ফিল মাসজিদ’ তোমরা মসজিদে ইতেকাফ করো। ইতেকাফ শব্দের অর্থ নিজেকে আবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় ইতেকাফ হলো- মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশায় শর্ত সাপেক্ষে নিয়তসহকারে পুরুষরা মসজিদে ও নারীরা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করা।

            রমজানের শেষ দশক (২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত) ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। বিনা প্রয়োজনে অর্থাৎ গোসল, খাবার, প্রস্রাব-পায়খানা ছাড়া অন্য কোনো অজুহাতে ইতেকাফের স্থান ত্যাগ করতে পারবে না। ইতেকাফ অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত জিকির নফল নামাজ ইত্যাদিতে মশগুল থাকবে।

            প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো আগের সব গুণাহের জন্য মা চেয়ে সাচ্চা মুসলমান হয়ে জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞা করার মাস। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত।

            তাকওয়া অর্জনের মাস: রমজান তাকওয়া অর্জনের মাস। আর সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন তাকওয়া অর্জনের অনন্য সোপান। রমজানে মাসব্যাপী রোজা পালন ফরজ করার তাৎপর্য এখানেই নিহিত। আল্লাহ তাআলা বলেন-

            ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হলো যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য ফরজ করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’ (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)

            সদকাতুল ফিতর: সদকাতুল ফিতর রমজান মাসে দিতে হয় এমন একটি অনুদান। যাতে মুসলিম সমাজের অভাবী ব্যক্তিরাও যেন স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারে। ঈদের নামাজের আগেই এই সদকা আদায় করতে হয়। সাহাবায়ে কেরাম ঈদের বেশ কয়েকদিন আগে অভাবীদের কাছে এ সদকা পৌঁছে দিতেন। যাতে তারা ঈদের জামা-কাপড় এবং বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী কেনাকাটা করে খুশি মনে ঈদ উদযাপন করতে পারে।

            রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন: রমজানে ইবাদতের পরিবেশ বজায় রাখুন। রমজানের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতগুলো পালন করুন। নিজে নেক আমল করুন, অন্যদেরও নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করুন। দুনিয়ার খুশি ও পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করুন। রমজানের রোজা পালন ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং রোষ থেকে নিষ্কৃতি ও বালা-মসিবত থেকে মুক্তির চেষ্টা করুন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রোজা আমারই জন্য, আমিই এর বিনিময় প্রতিদান দেব।’

            সহমর্মিতার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ক্রেতা-ভোক্তাসাধারণের হাতের নাগালে রাখা। খাদ্যে ভেজাল না মেশানো এবং ওজনে কমবেশি না করা। ইসলাম শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্ম নয় এর মূল বাণীই হচ্ছে মানবতার উৎকর্ষ। আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য আর মানুষসহ সব সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা। পবিত্র রমজানে মুসলমানের জীবন-জীবিকার সর্বত্র সততা সংযম ও পবিত্রতার ছোঁয়া লাগবে এটাই কাম্য। রমজানুল মুবারকের সিয়াম সাধনার এখানেই সার্থকতা।

            রোজাদারের মর্যাদা: হযরত সাহল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতের মধ্যে রাইয়্যান নামক একটি দরজা রয়েছে। কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররাই প্রবেশ করবে। তাদের ব্যতিত এ দরজা দিয়ে অন্য কাউকে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। ঘোষণা দেয়া হবে- রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা (সব রোজাদার) দাঁড়াবে। তাদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। রোজাদারদের প্রবেশের পর পরই (রাইয়্যান নামক) দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (বুখারি)

            সুতরাং, মুসলিম উম্মাহ’র উচিত রমজানের রোজা পালন এবং তার হক আদায় করা। সে আলোকে রোজাদারের জন্য বিশেষ কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো-

১. দিনের বেলায় পানাহার ও স্ত্রী-সম্ভোগ ত্যাগের নামই রোজা নয়, বরং প্রতিদিন অন্যায় কাজ, মিথ্যা, গিবত, হারাম উপার্জনসহ আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা। রোজা রেখে এ কাজগুলো করলে সারাদিন উপবাস থাকার কোনো ফায়েদা নেই। সুতরাং, রোজা পালন করে সব অন্যায় থেকে বিরত থাকা জরুরি। ২. রমজান মাসের আমল-ইবাদাতে কোরআনের বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা, এ মাসেই নাজিল হয়ে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইমানের দাবি হচ্ছে- ‘বান্দার প্রতিটি আমল হবে কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক। ৩. রোজা মানুষকে কষ্ট সহিষ্ণু শিক্ষা দেয়। অভুক্ত মানুষের অবস্থা মূল্যায়ন করতে শেখায়। সারাদিন উপবাস করে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই সাহরি ও ইফতারে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। রমজানের অতিরিক্তি খাবার বর্জন করা জরুরি। ৪. অযথা গল্প-গুজবে সময় ব্যয় না করে ইফতার পরবর্তী সময়ে ইশা এবং তারাবিহ নামাজ আদায়ের ব্যাপারে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। আবার তারাবিহ পরবর্তী সময়ে শেষ রাতে নফল নামাজ, জিকির-আজকারসহ দোয়া-ইসতেগফার করা। রাতের শেষ সময়ে কল্যাণকর কাজ সাহরি গ্রহণ করা যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া। ৫. রমজানে সব অশ্লীল ও বেহায়াপনা কাজ থেকে বিরত থাকা রোজার অন্যতম শিক্ষা। রোজা পালন করে অশ্লীল-বেপর্দার কাজ করা, অযথা সময় নষ্ট করে সিনেমা-টেলিভিশন দেখা, বেহায়াপনা সমৃদ্ধ মাধ্যমগুলোতে বিচরণ করা রমজানের রোজার আদর্শের পরিপন্থি কাজ। সুতরাং, সব খারাপ মাধ্যমগুলোও পরিত্যাগ করা রোজার অন্যতম দাবি। ৬. রমজানের ইবাদাতের সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভোগবিলাসী জীবনযাপন।

            পরিশেষে বলতে চাই, রমজান মাস অন্যান্য মাসের চেয়ে নীতি-নৈতিকতার শিক্ষার অন্যতম মাস। এ মাসেই মানুষ নৈতিক ও দ্বীনি শিক্ষায় নিজেদের আত্ম-নিয়োগ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাই যারা এ মাসের যথাযথ হক আদায় করে রোজা পালন করতে পারবে তাদের জন্য রমজানের নির্ধারিত ও বিশ্বনবীর দেয়া সুসংবাদ বিশেষ জান্নাত রাইয়্যান। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। রোজা ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখকঃ কলাম লেখক ও গবেষক

Share This