
৩ Views
প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও অধিকার করতে বলা হয়েছে। বাজেট কম থাকলেও এটি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
কমিশনের মুখ্য সুপারিশে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, এই সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি পৃথক ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। যা বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ব্যাপারে নাগরিকদের অধিকার ও রাষ্ট্রের কর্তব্য নির্ধারণ করবে। স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ মেয়াদে ন্যায্যতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।
এছাড়াও কমিশন সুপারিশ করেছে, এমবিবিএস ডাক্তার ছাড়া যেন এন্টিবায়োটিক না দেয়া হয়। ওষুধের দাম, টেস্ট ও ডাক্তারের পরামর্শ ফি নির্ধারিত করে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।
এছাড়াও চিকিৎসকদের নমুনা বা উপহার দিয়ে ফার্মেসী কোম্পানিগুলোর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রাখার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন।
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিশনের সদস্য করা হয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এস এম রেজা, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফকে।