শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইনের সংশোধন

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইনের সংশোধন

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যগণ। ছবি: ইত্তেফাক
ষ্টাফ রিপোর্টার: অন্তর্বতীকালীন সরকার ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিধান বাতিল করে প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয় যে, বিগত সরকারের সিদ্ধান্তে এ আইন প্রণয়নও জারি করা হয়েছিল। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানে আইনটি করা হয়েছিল; যা সুস্পষ্ট বৈষম্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূর করতে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। সংসদ কার্যকর না থাকায় আইনটি রহিত করতে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।
এছাড়া, ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’ সংশোধনের ব্যাপারে বলা হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের আওতায় প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ওদিকে বিদ্যমান আইনের আওতায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণের’ নিরাপত্তা প্রদান সংক্রান্ত বিধানসমূহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় কার্যকর করা সম্ভব নয়। তাই এই আইনের কতিপয় বিধান বিলোপসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি সংযোজনপূর্বক ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৪’ উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বহুল আলোচিত কালোটাকা সাদা করার এই বিধান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার।
সভা শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কালোটাকা সাদা করার যে বিধি ও রীতি বন্ধ করে দেওয়া। এটা থেকে সরকার যেটুকু টাকা আনতে পারে, সেটা টাকা দিয়ে সরকারের খুব আগায় না। তবে মূল্যবোধ অবক্ষয় হয়। এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধেও কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।

Share This