বুধবার, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ লাকসামবাসী

১৪ Views

            এম.এ মান্নান\ লাকসাম পৌর এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র আশঙ্কাজনক হারে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার কামড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দিনে রাতে বিরামহীনভাবে মশার উপদ্রবে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশুও স্থির থাকতে পারছেনা।

            এদিকে পৌরসভা এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষের মশা নিধনের কথা থাকলেও দেখা মিলছে না মশা নিধনের কোন কার্যক্রম। এ অভিযোগ পৌরবাসীর। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, অফিস কক্ষে মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন মানুষ। সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়ছেন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। মশার কামড়ে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না তারা। আর কয়েল জ্বলিয়ে পড়তে গেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।  মানুষ ছাড়াও গবাদিপশুর জন্য মশারি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এলাকার অধিকাংশ গোয়ালঘরে মশারি টাঙানো হচ্ছে।

            স্থানীয়রা জানায়, সাম্প্রতিক বন্যায় পৌরশহরসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্ল­াবিত হয়।  বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর দূষিত বর্জ্য, বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা নোংরা পানি এবং যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই এই উৎপাত আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসতে হচ্ছে। গবাদি পশুর ফার্মের মালিকরা বলছেন, বাজার থেকে হরেক রকমের মশা নিধনের ঔষধ ছিটিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মশারি কয়েল তো রয়েছে সেইসঙ্গে ধোঁয়াও ব্যবহার করে কোনোক্রমে চালিয়ে যাচ্ছি। গত বছরের  তুলনায় এবারের মশার প্রকোপ অনেকাংশে বেশী।

            লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, মশা শুধু রক্তই শোষণ করে না; এরা বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায় যা থেকে নাম চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগ হয়। মশার হাত থেকে রক্ষার জন্য মশারি ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি পানি জমে থাকে এমন ভাঙা আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিস দ্রæতই সরিয়ে ফেলে আঙ্গিনাগুলো পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি।

            লাকসাম পৌর প্রশাসক এস এম গোলাম কিবরিয়া জানান, পৌরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

            এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ জানান, আগামী দু’একদিনের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটিকে নিয়ে আলোচনা করা হবে। সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচার করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে লিফলেট ও প্রচারণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Share This