
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭ শত জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দা। ওদিকে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। বিবিসি’র খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “চারিদিক থেকে চিৎকার শুনতে পাচ্ছি- আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান… অসহায় লাগছে,” বলছিলেন ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের এক বাসিন্দা।
শুক্রবারের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন এখনও সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেখানে। মিয়ানমারে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না এখনও। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩৪০০ জনেরও বেশি হতে পারে। উল্লেখ্য, ২৯শে মার্চ (শনিবার) সন্ধ্যায় দেশটির জান্তা সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে যে, শুক্রবার সংঘটিত ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এতে সাগাইং, মান্দালয়, নেইপিদোসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাগাইংয়ে শত বছরের পুরোনো একটি সেতু ধসে পড়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে অনেক ভবন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রেডিও এবং টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাজ্য প্রশাসন পরিষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং শনিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে মান্দালয়ে পৌঁছেছেন এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এমন ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের ৬টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
দেশটির সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে তথ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা থাকায় কঠিন হয়ে পড়েছে সঠিক পরিস্থিতি নিরূপণ করা। ওদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের এই দুর্যোগে সহানুভূতি এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা সহায়তা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছেন ধ্বংসস্তূপে আরো উদ্ধার তৎপরতা ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্যে শীঘ্রই।Ref: bbc.com