দেশের আরেকটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ফ্যাশন মেকারস লিমিটেড পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছেন
ঢাকা গাজীপুরে শ্রীপুরের “ফ্যাশন মেকারস্ লিমিটেড” নামে আরেকটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছেন। এতে করে দেশে মোট ২১৫টি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো। বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল গত ১৭ই এপ্রিল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে এখন ৫৫টি হলো বাংলাদেশেরই। উল্লেখ থাকে যে, “ফ্যাশন মেকারস্” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছেন। এই সনদ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ৯টি শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে উল্লেখিত “ফ্যাশন মেকারস” লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছেন। তাদের অর্জিত নম্বর ৮৭। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে মর্যাদাশীল সনদটিই লাভ করেছেন। বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়। ঠিক সে রকম মান রক্ষা সাপেক্ষে সকল শর্ত পরিপালন করেছেন উক্ত “ফ্যাশন মেকারস্ লিমিটেড” এবং এর কর্ণধার হলেন বৃহত্তর লাকসামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব মো: শাহাজাহান ভুঁইয়া।