যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ মিলিয়ন বৈধ ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারী নিয়মিত নজরদারির আওতায়


জান্নাতুল ফেরদাউস পুষ্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানির্ভর অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগত বা ভিসাপ্রাপ্ত ৫৫ মিলিয়নের বেশি বৈধ ভিসাধারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে এবং যে কোনো ভিসার আইন লঙ্ঘন, অপরাধমূলক কর্মকান্ড বা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি শনাক্ত হলেই তাদের ভিসা বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নের ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন নীতির আওতায় শুধু অস্থায়ী ভিসাধারীরাই নন; স্থায়ী বসবাসের স্বীকৃতি প্রদানকারী গ্রিনকার্ডধারীকেও নিয়মিত এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। গ্রিনকার্ড মূলত একটি রেসিডেন্সি ভিসারূপে গণ্য হওয়ায় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধেও কোনো আইন লঙ্ঘন বা নিরাপত্তা হুমকি পাওয়া গেলে ভিসা বাতিল এবং বিতাড়নের ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে আরো কঠোর করার লক্ষ্যেই। এ কঠোর ভেটিং প্রক্রিয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চালু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসন ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমানে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কিংবা যে কোনো সময় দেশটিতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে ভিসাপ্রাপ্ত ৫৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিসাধারীকে ‘কন্টিনিউয়াস ভেটিং’ বা ক্রমাগত নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছেন যে, এ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হলেও বর্তমানে তা ব্যাপকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। নীতির আওতায় থাকা ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ইতিহাস, আইন লঙ্ঘনের রেকর্ড এবং বিদেশি গোয়েন্দা ও ইমিগ্রেশন সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এমনকি ভিসা ইন্টারভিউয়ের সময় আবেদনকারীদের মোবাইল ফোন ও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের প্রাইভেসি সেটিংস বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে, যাতে তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ সহজ হয়।
তাছাড়া, স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরো জানিয়েছেন যে, জাতীয় ও জননিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দ্বিগুণ ভিসা বাতিল করা হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় চার গুণ বেড়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এবং ২০০-৩০০ জনকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে এ প্রসঙ্গে মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষক জুলিয়া জেলাট বলেন, ৫৫ মিলিয়ন ভিসাধারীর মধ্যে অনেকেই কেবল একবার যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন বা ভবিষ্যতে আর আসার সম্ভাবনা নেই। এত বিশাল জনগোষ্ঠীর ওপর নজরদারির জন্য বিপুল সম্পদ ও জনবল দরকার, যার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে, কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো এডওয়ার্ড অলডেন বলেন, এই নীতি মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বোঝানো হচ্ছে যে, বিদেশি কর্মী নিয়োগ করলে তাদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে। এর ফলে বিদেশি শ্রমবাজার ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে বিদেশি ট্রাকচালকদের আর কোনো এইচ-২বি বা অনুরূপ কর্মসংস্থানভিত্তিক ভিসা ইস্যু করা হবে না। তিনি বলেন, বৃহৎ ট্রাক ও ট্রেইলার চালানো বিদেশিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন সড়কে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং এতে আমেরিকান ট্রাকচালকদের চাকরি হুমকির মুখে।
এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এতে পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, ট্রাকচালকদের ইংরেজি পড়া ও বোঝার সক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কারণ ইংরেজি না বোঝার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সাইন বোর্ড না পড়তে পারা ও যোগাযোগে ব্যর্থতা বড় ভূমিকা রেখেছে।
বর্তমানে ইউরোপ ও এশিয়ার ৪০টি দেশের নাগরিক ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে তিন মাস পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারেন। তবে চীন, ভারত, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান এবং আফ্রিকার প্রায় সব দেশের নাগরিকদের জন্য এ সুবিধা নেই। তাই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য আবেদন ও কঠোর যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ নতুন ভিসা পর্যালোচনা নীতি ও কড়াকড়ির ফলে অনেক অভিবাসী, শিক্ষার্থী এবং বিদেশি কর্মীর মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে আগত ভিসাধারীদের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনেকে বলছেন, এমন কড়াকড়ির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিদেশি মেধাবীদের আগ্রহ কমে যেতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বাস্তবায়ন হওয়া এই আক্রমণাত্মক ভিসা পর্যালোচনা নীতি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। এটি শুধু অবৈধ অভিবাসীদের নয়; বৈধভাবে অবস্থানরত ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেও এভাবে নজরদারি ও চাপ বাড়াচ্ছে। এর প্রভাব দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক ও মানবাধিকারের ওপরেও পড়বে।
অপরদিকে, আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) কর্তৃপক্ষের গত ২০শে আগস্ট পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বর্তমান হারে বহিষ্কার চলতে থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটি ৪ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ২০০ জন অভিবাসীকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার প্রস্তুতি হিসেবেই অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান আরো কঠোর করেছিলেন। তখন তিনি এক নির্বাচনী সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ‘আমেরিকা হবে শুধুই আমেরিকানদের জন্য। বেআইনি অভিবাসনের জায়গা এ দেশে আর থাকবে না।’ এই ঘোষণার পর থেকেই আইসের অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে অনিয়মিত কাগজপত্রধারী, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারী এবং ফৌজদারি রেকর্ড থাকা ব্যক্তিদের টার্গেট করে অভিযান চালানো অব্যাহত রয়েছে।
তদুপরি, বাস্তবে এমনটাও দেখা গেছে যে, বহু আশ্রয়প্রার্থী, শিশু-এমনকি বৈধ আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা অভিবাসীরাও এই অভিযানের আওতায় পড়ছেন। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এ ধরনের অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, আইস অনেক সময় আদালতের নির্দেশ ছাড়াই অভিবাসীদের আটক করছে এবং পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা করে দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ২০১৮ সালের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পুনঃপ্রয়োগের ফলে হাজার হাজার শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিলো। আসলে মানবিক ও সামাজিক দিক থেকে এ পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ইতিহাসে গভীর বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে অনবরতভাবেই।
ওদিকে, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৬ লক্ষাধিক অবৈধ অভিবাসীর স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। এতে করে ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমেরিকায় অভিবাসী জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়া, চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী সংখ্যা ১৪ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৯ মিলিয়নে, যেখানে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার সময়েও এ সংখ্যা ছিল ৫৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন। এই হ্রাসকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নিরপেক্ষ গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, এই পরিবর্তনের মূল কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অভিবাসন নীতি ও ব্যাপক বহিষ্কার অভিযান। ২০২৫ সালের শুরু থেকেই বেআইনি অভিবাসন ঠেকাতে সীমান্ত কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং যারা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন। পাশাপাশি স্টেট ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছে যে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে অবস্থানকারী ৫ দশমিক ৫ কোটি ভিসাধারী অভিবাসীর ভিসা যাচাই-বাছাই করা হবে এবং যে কোনো নিয়ম লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আসলে অভিবাসী জনসংখ্যা হ্রাস পেলেও এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১৫ দশমিক ৪ শতাংশই বিদেশে জন্ম নেয়া ব্যক্তি। এটি এখনো ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি-এমনকি এলিস আইল্যান্ড যুগকেও ছাড়িয়ে গেছে। কর্মক্ষেত্রেও অভিবাসীদের উপস্থিতি রয়েছে, তবে সেটিও কমেছে। বছরের শুরুতে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমশক্তির ২০ শতাংশ অভিবাসী ছিলেন, এখন সেই হার ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে শ্রমবাজার থেকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ লাখ অভিবাসী কর্মী বাদ পড়েছেন।
এছাড়া, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। চলতি বছরে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীর সংখ্যা প্রতি মাসে ৫ হাজারের নিচে নেমে এসেছে এবং আর কাউকে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে প্রশাসন ঘোষণা করেছে, বছরে অন্তত ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে দেশ থেকে বহিষ্কারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রাম্পপন্থী সমর্থকরা এ পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি প্রয়াস হিসেবে দেখছেন। তবে মানবাধিকার সংস্থা ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতিমালা মানবিক দিক থেকে উদ্বেগজনক। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এর ফলে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বিশেষ করে কৃষি, নির্মাণ এবং সেবা খাতে।
মূলতঃ বর্তমানে গোটা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বহু মানুষ যারা বহু বছর ধরে দেশটিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন, এখন হঠাৎ করে নিজেদের অনিরাপদ মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা শুধু অভিবাসন নীতির রূপান্তর নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক কাঠামো ও অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। Ref: deshus.