রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">সামান্য বৃষ্টিতেই বড় বড় গর্তে জমে যায় পানি</span> <span class="entry-subtitle"> চান্দিনা পৌরসভার প্রধান সড়কগুলোর বেহাল দশা</span>

সামান্য বৃষ্টিতেই বড় বড় গর্তে জমে যায় পানি চান্দিনা পৌরসভার প্রধান সড়কগুলোর বেহাল দশা

Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লা জেলার চান্দিনা পৌরসভার রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। পৌরসভার প্রধান পাঁচটি সড়কের মধ্যে তিনটি সড়কই যান চলাচলের অনুপযোগী। আরো একটি সড়কের কিছু অংশ কাজ করা হলেও বাকি অংশ পড়ে আছে আগের মতো।

            ১৯৯৭ সালে গঠিত হয় চান্দিনা পৌরসভা। দীর্ঘ ২৭ বছরে ১২ গুণ বেড়েছে পৌরসভার উন্নয়ন বাজেট। ‘গ’ শ্রেণির এ পৌরসভাটি ২০০৯ সালে ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। ‘ক’ শ্রেণির উন্নতি হওয়াও প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ২৭ বছরেও উন্নত হয়নি পৌরসভার রাস্তা-ঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থার।

            ১৪.২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চান্দিনা পৌরসভায় প্রধান সড়ক রয়েছে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে উপজেলা সদরের সঙ্গে চারটি প্রধান সংযোগ সড়ক সংযুক্ত আছে। যে সড়কগুলো নিজ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মধ্যে তিনটি শুধু যান চলাচল নয়; মানুষ চলাচলেরও অনুপযোগী।

            প্রতিটি সড়কে বড় বড় গর্ত, কার্পেটিং উঠে গেছে অন্তত দুই থেকে তিন বছর আগে। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়। এমন পরিস্থিতিতে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুরনো ভবনের ভাঙা অংশ ফেলে জোড়াতালি দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বড় বড় এই গর্তে প্রায়ই উল্টে যায় বিভিন্ন যানবাহন। বিধ্বস্ত এই সড়কগুলোর ধুলাবালিতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও চরমে।

            গুরুত্বপুর্ন সড়কগুলো হলো- চান্দিনা-খোসবাস, চান্দিনা-বরকইট ও চান্দিনা-বাড়েরা সড়ক। এর মধ্যে চান্দিনা-খোসবাস সড়ক এতটাই খারাপ অবস্থা, মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ওই সড়ক যাতায়াত করেন না। সড়কটির অবস্থা এতটাই করুণ যেন কেউ একবার ওই সড়ক হয়ে কোথাও গেলে দ্বিতীয়বার যেতে চান না।

            ভাঙা সড়কগুলো দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ জায়গায় পিচঢালাই ও সুরকি উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করলেই উড়ছে ধুলাবালু। ধুলার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ যাত্রীসহ আশপাশের বাড়িঘরের মানুষ। ধুলায় ভারী হয়ে উঠেছে ওই এলাকার বাতাস। নাক-মুখে মাস্ক ব্যবহার কিংবা কাপড় চেপে ধরলেও ধুলাবালি থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। ভোগান্তির সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিরা প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পানি ছিটিয়ে যাচ্ছেন সড়কে। সিএনজিচালক শাহপরান জানান, আমি চান্দিনা বাজার থেকে লতিফপুর সড়কে সিএনজি চালাই। শুধু কুমিল্লা জেলা নয়; বাংলাদেশে এর চেয়ে খারাপ রাস্তা আর আছে কি না সন্দেহ আছে। দীর্ঘদিন এভাবে পড়ে থাকলেও সড়কটি সংস্কারে কারো কোনো উদ্যোগ নেই।

            চান্দিনা পৌরসভা মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া জানান, পৌরসভার ফান্ড ও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় সড়কগুলো সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। সড়কগুলোর যে অবস্থা আমি কেন, সবার কাছেই খারাপ লাগে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের সহযোগিতায় সরকারি ফান্ডের ব্যবস্থা হয়েছে। আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে তিনটি সড়কই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রত্যাশা করছি।

Share This