রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২ এমপি’র কথায় চলে নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি:  -মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

২ এমপি’র কথায় চলে নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি: -মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) নারায়ণগঞ্জের দুই এমপি’র কথায় চলে। ফুটপাথ হকারমুক্ত করা পুলিশের কাজ। যানজট নিরসন করা পুলিশের কাজ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নয়। এ শহরে নাগরিকরা বললে কিছু হয় না। একমাত্র নারায়ণগঞ্জের দুই এমপি বললে প্রশাসন কাজ করে। তারা যা বলে তাই তারা শোনেন। তারা আমাদের নারায়ণগঞ্জবাসীর কথা চিন্তা কমই করেন। কারণ তারা যা তাদের দেয়- আমি তো দিতে পারি না। কারণ আমার কাছে তো আর মোটা অঙ্কের টাকা নাই। ফলে আমি দিতেও পারি না। তাছাড়া, আমার তো পিস্তল নাই, কোনো বাহিনী নাই।

গত সোমবার নগর ভবনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর নাগরিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে মেয়র আইভী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরকে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী করে তা সবাই জানে। শহরের ফুটপাথ হকারমুক্ত করার জন্য আমি পদক্ষেপ নিতে যাই। আর উনি এসে হকার বসায়। ফুটপাথ তো আমরা বানিয়েছি মানুষজন চলাচল করার জন্য। কিন্তু এ ফুটপাথ হকারমুক্ত করতে গিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি আমাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। ওইদিন অল্পের জন্য আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। সাংবাদিকরা আহত হলেন। এরপরও কি আপনারা বলবেন হকার উচ্ছেদ করতে?

তিনি বলেন, শহরে অটোরিকশা চাঁদাবাজি হচ্ছে। এই চাঁদাবাজি কে করে আপনারা সবাই জানেন। শুধু পুলিশ কিংবা সাংবাদিকের স্টিকার না এমপি’র স্টিকারও থাকে। এমপি’র লোকজন শহরে এখন এমপি’র স্টিকার লাগিয়েও চাঁদাবাজি করে। কারণ ফুটপাথের হকাররা ও ট্রাক স্ট্যান্ডের লোকজন আমার কথা শোনে না- তারা সবাই এমপি’র কথাই শোনে। এমপি যদি বলে তাহলে একদিনে ফুটপাথ থেকে হকার ও নিতাইগঞ্জ থেকে ট্রাক স্ট্যান্ড খালি হয়ে যায়। আর আমি শত অনুরোধ করলেও তারা শোনেন না।

তিনি আরও বলেন, পুরো নারায়ণগঞ্জ নগরীকে তারা জিম্মি করে রেখেছে। আর যদি সবসময়ে এমনই হতে থাকে তাহলে তো আমার এমপিগিরিই করতে হবে। প্রয়োজনে আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি মনোনয়নও চাইবো।

এছাড়া, ওয়াসার পানি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরবাসী প্রচুর পানি নষ্ট করে। আবার অনেকে অবৈধভাবে চোরাই লাইন নেয়। বৈধভাবে যারা আছেন তারাও পানির বিল দেয় না। বাড়িতে গেলে উল্টো আমাদের অভিযানকারী টিমকে নাজেহাল করে। তবে অক্টোবর থেকে আমরা অভিযানে নামবো।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকাতে নিয়মিত মশার ওষুধ দেয়া হয়। আমাদের কাউন্সিলররা কাজ করছে। কিন্তু মশা মরে না। কিছুক্ষণ ঝিম ধরে থাকে। তবে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হবে।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুসহ সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীবৃন্দ।

সুত্র: ইনকিলাব

Share This

COMMENTS