শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেয়ার মতো করে  সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তি করা হবে’

‘ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নেয়ার মতো করে সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তি করা হবে’

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, “প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের পরিচয় সংকট দূর করা হবে। যোগ্য সাংবাদিকরা প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হবেন। ছাঁকনি  দিয়ে ছেঁকে নেয়ার মতো করে সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তি করা হবে। এতে অনিবন্ধিতদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

            গত বুধবার (১লা নভেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত রংপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নিজামুল হক নাসিম এসব কথা বলেন।

            বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে সাংবাদিক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা কী হবে- এনিয়ে কোনো আইন নেই। সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট কিংবা গ্র্যাজুয়েট না হলেও কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এবং ঢাকায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা সংগ্রহ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সাংবাদিকদের নিবন্ধন হোক। এটি হলে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা বিষয় দেখভাল করতে পারবেন। সেই সঙ্গে সাংবাদিকরা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে।’

            তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘চিকিৎসক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের নিবন্ধন রয়েছে। অথচ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিতদের কোনো নিবন্ধন নেই। এর ফলে যাদের উপযুক্ততা নেই- তারাও এ পেশায় আসছে। ফলে হলুদ সাংবাদিকতা বেড়ে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।’

            প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘যার কোনো নিয়ম-নীতিমালা নেই, প্রচার কিংবা প্রকাশে গেটকিপার নেই, এটি কোনো সাংবাদিকতা হতে পারে? প্রচারমুখী সাধারণ মানুষের সঙ্গে একদল মানুষ ফেসবুক সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করছে। তাই ফেসবুক সাংবাদিকদের উৎসাহ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাদের অপসাংবাদিকতা রুখতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

            প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘অপসাংবাদিকতা রুখতে প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৫ সালে নতুন আইনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছেন। এতে কোনো সাংবাদিক মিথ্যাচার করে সংবাদ পরিবেশন করলে তাদের এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। আর এ আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি আসবে।’           রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানবসম্পদ ও উন্নয়ন) হাবিবুর হাসান রুমির সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, রংপুর জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ অতিথিরা। সুত্র: সাংবাদিক ফরহাদুজ্জামান ফারুক/ ফযধশধঢ়ড়ংঃ

Share This