শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

হজ প্যাকেজের খরচ কমাতে হাইকোর্টের রুল

হজ প্যাকেজের খরচ কমাতে হাইকোর্টের রুল

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজ ২০২৩ কেন অবৈধ এবং প্যাকেজের খরচ কমিয়ে নির্ধারণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী মো. আশরাফ-উজ জামান।

            তিনি বলেন, হজের সময় সব বিমানকে যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান, এডভোকেট পারভেজ হোসেন।

            গত ২৮শে নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান। ওইদিন আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান বলেন, ‘হজের মোট খরচ ৪ লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে সরকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারণ করেছে। আর বিশেষ প্যাকেজ ৯ লাখ ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। ‘হজের মতো একটি ফরজ ইবাদতের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা বাধা সৃষ্টির নামান্তর। নোটিশ পাওয়ার পর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন আদালত।

            রিটে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ (হিজরি-১৪৪৫) এর হজযাত্রী প্রতি খরচ অত্যন্ত অযৌক্তিক, যা মানুষের নাগালের বাইরে। এতে বলা হয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৪১০ টাকা। যা অনেক বেশি। এতে বোঝা যায় যে, সরকার হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বাড়ির মালিকদের অনুকূলে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করেছে। ‘গেজেটে বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৩৪ টাকা, যা অনেক বেশি। এটা হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা। আর জমজমের পানির বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা খুবই আপত্তিকর। এ বরকতময় পানি বিক্রি করে কোনো সরকার আর্থিক সুবিধা নিতে পারে না।’ এ বছরের হজ প্যাকেজে বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার টাকা ভিসা ফি, ইলেক্ট্রনিক সার্ভিস, গ্রাউন্ড সার্ভিস ফি, ক্যাম্প ফি নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সৌদি আরব সরকার এ ভিসা ফি আরোপ করতে পারে না।

            এতে আরও বলা হয়েছে, গেজেটে প্লে­ন ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে বর্তমান প্লে­ন ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় ৭৬ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। প্রতি বছর সরকার হজযাত্রীদের বিমান বাংলাদেশ এবং সৌদি এয়ারলাইন্স থেকে প্লে­নের টিকিট কিনতে বাধ্য করে, যাতে ওই এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোকে অবৈধ সুবিধা দেয়। এ ছাড়াও প্রতি হজ গাইডের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অপ্রাসঙ্গিক। সরকার হজযাত্রীদের এই টাকা অযৌক্তিকভাবে পরিশোধ করতে বাধ্য করে। বাড়ি ভাড়া, পরিবহন খরচ, স্বাস্থ্যবিমা সার্ভিস চার্জ এবং জমজমের পানিতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা বেআইনি ও অনৈতিক।

Share This

COMMENTS