বুড়িচংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে মৃত্যুফাঁদ!
আলমগীর হোসেন\ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর রেল স্টেশনের উত্তরপাশ সংলগ্ন রেলওয়ে ক্রসিংটি ঝুঁকিপূর্ণ ও মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমান সরকার সারা দেশের ন্যায় রেললাইন আধুনিকায়ন ও ব্যাপক উন্নয়ন সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করেছে। এতে করে আগের চেয়ে প্রতিটি রেললাইন মাটি ও পরবর্তীতে পাথর দিয়ে ভরাট করে প্রায় ৪/৫ ফুট উঁচু করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে এ সমস্ত অরক্ষিত ক্রসিংয়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা যে সমস্ত যাত্রীবাহী যান চলাচলের অরক্ষিত রুট রয়েছে সেগুলোর মেরামত কাজ না করায় রেললাইন থেকে তুলনামূলক অনেকটা নিচু অবস্থানে রয়েছে। যার ফলে অরক্ষিত ঝুঁকিপূর্ণ রেল ক্রসিং দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে দুর্ঘটনার ফাঁদে পড়ছে চালকগণ। প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন পারাপারে অরক্ষিত এ রেল লাইনের উঁচু থেকে নিচুতে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ খান বলেন, প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন পারাপারে অরক্ষিত এ রেললাইনের উঁচু থেকে নিচুতে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যা কারো কাম্য নয়। এ ব্যাপারে রেল ক্রসিংয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গাড়ি উঠা নামার রুট তথা সড়কগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি অরক্ষিত এ রেল লাইনের উঁচু থেকে নিচুতে নামতে গিয়ে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের হসপিটাল সংলগ্ন হাজী বাড়ির হাজী বশারত আলী (বসু) মিয়ার চতুর্থ ছেলে অটোরিকশা চালক মো. ফারুক মিয়া দুর্ঘটনায় মারা যায়। এই ঘটনাটি ঘটে বুড়িচং- শংকুচাইল রোডের রাজাপুর রেল স্টেশনের উত্তর পাশের ওই রেল ক্রসিংয়। এছাড়া, স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ রেলক্রসিং রাস্তাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রত্যেকদিন এখানে নানাবিধ দুর্ঘটনা ঘটে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে প্রতি বছর অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলিফ আহামেদ জানান, এটি রেল কর্তৃপক্ষের জায়গা। আমার করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কারের পাশাপাশি উপজেলার অরক্ষিত অন্যান্য রেল ক্রসিংগুলো দ্রæত সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।