সোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুতে  উঠতে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকোই ভরসা

Views

নাজিম উদ্দিন\ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা-কুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা উত্তর পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন খালে অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় ২ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচির অধীনে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন কুড়াখাল সড়কের ওপর সেতু নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, যা গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২৫-৩০ ফুট প্রস্থ খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতুটি। সেতুর দু’পাশে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচালা-কুড়াখাল সড়ক দিয়ে ৩ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোক যাতায়াত করছে। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটি বরাদ্দ থাকলেও সেখানে মাটি না ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, কোনো পরিকল্পনা না করেই প্রকল্পের শেষ পর্যায় এসে পকেট ভারী করতেই তড়িঘড়ি করে অপরিকল্পিতভাবে কালভার্টি নির্মাণ করা হয়। সঠিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের কাজে লাগতো এবং সরকারি টাকা অপচয় হতো না।

শ্রীকাইল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার জানান, সেতুর দু’পাশ গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। কিছু দিনের মধ্যে পানি কমলেই মাটি ফেলে সেতুর সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই খান বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি এ উপজেলায় যোগদানের আগেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রæতই সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সেতুটির সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা হবে।

Share This

COMMENTS