সোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ৩ মাস ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ মাস ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন

Views

 নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি গত ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, ‘এক্স-রে অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। আশা করি দ্রæতই সমস্যার সমাধান হবে।’

জানা গেছে, মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষের বসবাস। ২০২০ সালে স্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিনটি দেয়। সেটি দিয়েই চলছিল চিকিৎসা সেবা। চলতি বছরের ৫ই জুন এক্স-রে মেশিনটির অপারেটর ইউনুস মিয়া অবসরে চলে যাওয়ার পর গত প্রায় ৩ মাস যাবত এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে দেড় শতাধিক রোগী ভিড় করছে। এদের ৪০ থেকে ৫০ জনকে অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গে এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পূর্ব পাশের একটি কক্ষে এক্স-রে মেশিনটি অযতেœ অবহেলায় ধুলাবালিতে ঢেকে আছে।

চিকিৎসা নিতে আসা রুবেল মিয়া বলেন, অটোরিক্সা এক্সিডেন্ট করে মুরাদনগর হাসপাতালে গেলে ডাক্তার আমাকে এক্স-রে করতে বলেন। গিয়ে দেখি এক্স-রে রুম বন্ধ। তাই হাসপাতালের সামনে একটি ডায়োগনিষ্টিক সেন্টারে গিয়ে ৪শ’ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাই। রির্পোটে আসে আমার কোন হাড় ভাঙ্গে নাই। কিন্তু অসম্ভব ব্যাথা হওয়ার কারণে ডাক্তার আমাকে কুমিল্লা যাওয়ার পরামর্শ দেয়। জেলা হাসপাতালে গিয়ে এক্স-রে করালে সেই রির্পোটে আসে আমার বুকের নয়টি হাড় ভেঙ্গে  গেছে। যাত্রাপুর গ্রামের সুদন মিয়া বলেন, ‘মেশিনের অপারেটর না থাকায় হাসপাতালের বাইরে গিয়ে ৫০০ টাকা দিয়ে আমার হাতের এক্স-রে করাই। এক্স-রেটা হাসপাতালে করাতে পারলে মাত্র ৫৫ টাকা লাগতো।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেটর সপ্তাহে তিনদিন এখানে এক্স-রে মেশিনে সময় দিতেন। গত জুন মাসে তিনি এলপিআরে চলে যান। আমি বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি দ্বেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে অপারেটর সপ্তাহে দু’দিন এখানে সময় দিবেন বলে জানায়।

Share This

COMMENTS