শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে মুহাদ্দিস রফিক উল্লাহ আফসারীর মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন

বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে মুহাদ্দিস রফিক উল্লাহ আফসারীর মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন

৯৮ Views

ষ্টাফ রিপোর্টার॥ বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে মুহাদ্দিস রফিক উল্লাহ আফসারীর মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। তিনি কখনও নিজের অর্থায়নে আবার কখনো বিভিন্ন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশি প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ক্রয় করে থাকেন দেশি জাতের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এভাবে মাছের পোনা ক্রয় করে বিভিন্ন জলাশয়ে অবমুক্ত করে যাচ্ছেন অকাতরে। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা এবং বৃহত্তর লাকসামের কৃতি ব্যক্তি মুহাদ্দিস রফিক উল্লাহ আফসারী বিগত ৫/৭ বছর যাবত দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নদী-নালা ও খাল-বিলে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪টি স্পটে ৩০ লাখেরও বেশী পরিমাণের মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন।

পোনা অবমুক্ত করার সময় মাঝে মধ্যে সরাসরি নিজের ফেসবুক পেইজে লাইভে এসেও সকলকে এভাবে সাধ্যমতো পোনা অবমুক্তকরণের আহ্বানসহ শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের বাণী ছড়িয়ে দিতে দেশের জনগণের উদ্দেশ্য জনস্বার্থমূলক বক্তব্য এবং গজল গেয়েও মেতে উঠেন তিনি। সাবেক মুহাদ্দেস রফিক উল্লাহ আফসারী এ পর্যন্ত ১. ফেনী নদী বারিয়ারহাট অংশ, ২. কালিদাসের নদী লেমুয়া, ৩. মুহুরী প্রজেক্ট, ৪. মুহুরী নদী রেজুমিয়া ব্রিজ, ৫. পরশুরাম নদী, ৬. ফেনী ছোট নদী, ৭. মুসাপুর ব্রিজ, ৮. চরহাজারী ফেনী নদী, ৯. রাজাপুর বাজার ফেনী নদী, ১০. ফেনী নদী পশ্চিমাংশ চাপরাশির হাট, ১১. গজারিয়া খাল ফেনী, ১২. চিলুয়া ব্রিজ চৌদ্দগ্রাম, ১৩. গুণবতী জলা, ১৪. কুমিল্লা গোমতী নদী, ১৫. বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার ডাকাতিয়া নদী- নশরতপুর, ১৬. নশরতপুর ডোবা লাকসাম, ১৭. লাকসামের কোঁয়ার খাল, ১৮. ডাকাতিয়া নদী কালিয়াপুর অংশ, ১৯. ডাকাতিয়া নদী শ্যামপুর, ২০. ডাকাতিয়া নদী শরীফপুর ব্রিজ, ২১. ডাকাতিয়া নদী হাজারিপাড়া চৌদ্দগ্রাম, ২২. ডাকাতিয়া নদী শুচি পাড়া ব্রিজ শাহারাস্তি, ২৩. ডাকাতিয়া নদী হাজীগঞ্জ পূর্ব, ২৪. ডাকাতিয়া নদী হাজীগঞ্জ পশ্চিম, ২৫. ডাকাতিয়া নদী শাহাতলী কামিল মাদ্রাসা, ২৬. ডাকাতিয়া নদীর গাছতলা ব্রিজ, ২৭. ডাকাতিয়া, গোমতি, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, মোহনা মাছঘাট চাঁদপুর, ২৮. চর আলেকজান্ডার মেঘনা নদী রামগতি লক্ষ্মীপুর, ২৯. ভুলুয়া নদী নোয়াখালী, ৩০. আন্ডার চর ভুলুয়া নদী নোয়াখালী, ৩১. ভুলুয়া নদী মিরুয়ারিস পুর ফাজিল মাদ্রাসা, ৩২. গোপালপুর খাল, চন্দ্রগঞ্জ খাল, ৩৩. চন্দ্রগঞ্জ ওয়াফদা খাল, ৩৪. সেনবাগ খাল, ৩৫. চান্দিনা ঘুরকার বিল, ৩৬. চান্দিনা উত্তর খাল, ৩৭. হাকালুকি হাওর কুলাউড়া মৌলভীবাজার, ৩৮. মেঘনা ব্রিজ মুন্সিগঞ্জ অংশ, ৩৯. দাউদকান্দি ব্রিজ, ৪০. মিয়াবাজার ব্রিজ কৃষ্ণপুর খালে চৌদ্দগ্রাম, ৪০. মুরাদ নগর খাল কুমিল্লা, ৪২. মতিরহাট মেঘনা নদী কমলনগর লক্ষীপুর, ৪৩. কমলনগর বিল ভুলুয়া নদী সংলগ্ন, ৪৪. নাসির গঞ্জ মেঘনা নদী কমলনগর লক্ষীপুর, ৪৫. মজু চৌধুরী ঘাট মেঘনা নদী সদর লক্ষীপুর, ৪৬. সোনাইমুড়ি খাল নোয়াখালী, ৪৭. সাজুলিয়া দরবার সংলগ্ন খাল কচুয়া, ৪৮. মেঘনা ব্রিজ পশ্চিমাংশ মুন্সিগঞ্জ, ৪৯. গোমতী নদী কুমিল্লা বেদে পল্লী অংশ, ৫০. চাঁদপুর মোহনা পর্যটন অংশ ৫১. ধনাগোদা নদী মতলব চাঁদপুর, ৫২. পৌচইর বিল নাঙ্গলকোট, ৫৩. উটতলী খেয়াঘাট অলিপুর হাজীগঞ্জ চাঁদপুর ডাকাতিয়া নদী এবং ৫৪. পঞ্চবডি কাঠালিয়া নদী হোমনা কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্পটে সফলভাবে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেছেন।

এম.এ মান্নান (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সংবাদদাতা) প্রেরীত খবরে জানা গেছে যে, গত ১৩ই মে (সোমবার) বিকালে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় মাওলানা রফিক উল্লাহ আফসারী ও তাঁর সফর সঙ্গীরা গাড়িতে ২৬টি ব্যাগে করে প্রায় ২০ হাজার মাছের পোনা নিয়ে পৌঁছেন। পরে আছর নামাজ শেষে মনোহরগঞ্জ বাজার ও আমতলী বাজার ব্রিজ সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এসময় মাওলানা রফিক উল্লাহ আফসারী বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ রাসূল (সাঃ) এর প্রতি অগণিত দরুদ এবং আপনাদেরকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাল-বিল, নদ-নদীতে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করার ধারাবাহিকতায় আমার প্রিয় এলাকা মনোহরগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীতে প্রায় ২০ হাজার মাছের পোনা অবমুক্ত করলাম।” তিনি আরো বলেন, “আমরা এখন আর নদীতে জাল ফেললেই মাছ পাই না; কেননা আমরা শুধু মাছ ধরেই যাচ্ছি কিন্তু মাছের পোনা অবমুক্ত করি না। তাই দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

আপনারা ছোট বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাছ ধরা, ডিমওয়ালা মাছা কেনা-বেচা ও খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং আমরা আল্লাহর পানি নেয়ামতকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকে যদি ১ কেজি বা আধা কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করি তাহলে আমাদের দেশ আবারও ‘মাছে-ভাতে বাঙ্গালি’ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।” পরে তিনি উপস্থিত সকলকে নিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং উপস্থিত সকলের কাছে নিজেও দোয়া এবং সহযোগিতা চেয়েছেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হিরন, আবদুর রহিম, আহছানউল্লাহ, শাহাদাত হোসেন, আবদুর রশিদ এবং স্থানীয় হেফজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার অনেকেই।

Share This