রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">প্রতিদিন গ্রিডে যুক্ত হতে পারে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট</span> <span class="entry-subtitle">সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান</span>

প্রতিদিন গ্রিডে যুক্ত হতে পারে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাসকূপের সন্ধান

Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ নামের গ্যাসক্ষেত্রে নুতন কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কূপে আগুন জ্বালানো হয়। এ কূপ থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে আশা করছে বাপেক্স। আশার দিক হলো, এই কূপের চারটি স্তরেই গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে।

            এটি গত ৬ মাসের মধ্যে নোয়াখালীতে গ্যাস অনুসন্ধানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) দ্বিতীয় সাফল্য। গত সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ওহিদুল ইসলাম।

            এর আগে গত ২৯শে মার্চ জেলার কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের চর কাঁকড়া গ্রামে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এরই মধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা শুরু হয়েছে।

            বাপেক্সের কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালের ২৯শে এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজ শেষ হয়ে ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে সর্ব নি¤œস্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির চারটি স্তরের গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে। উৎপাদন টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত মোট গ্যাসের পরিমাণ। টেস্টিং কার্যক্রম শেষে মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

            নতুন কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের দরপত্র আহবান করা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

            গত সোমবার রাতে কূপের পাইপলাইনের মুখে আগুন জ্বালানোর সময় বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাপেক্স সূত্রে জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত চারটি স্তরে খনন করা হয়।

            ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান  বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের যে তীব্র সংকট চলছে, এই সংকটময় মুহূর্তে এই কূপে গ্যাসপ্রাপ্তি অনেক আশার জন্ম দিয়েছে। আগামী কয়েক দিন কূপের প্রতিটি স্তরে গ্যাসের ডিএসটি টেস্ট করা হবে। এরপর কূপে গ্যাসের মোট মজুত সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে।

            আসাদুজ্জামান আরো বলেন, প্রয়োজনীয় পাইপলাইন বসানোর পর অল্প সময়ের মধ্যে এই কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডলাইনে সরবরাহ করা হবে। একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের ও গর্বের।

            উল্লেখ্য ১৯৭৬ সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-১ এবং ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ-৬ কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।

Share This

COMMENTS