শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাঙ্গলকোটে প্রাণিসম্পদ বিভাগে ক্ষতি ৪৪ কোটি টাকা

নাঙ্গলকোটে প্রাণিসম্পদ বিভাগে ক্ষতি ৪৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মারা গেছে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ গবাধি পশু ও পাখি। প্রাথমিকভাবে এর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে অন্তত ৪৪ কোটি টাকা।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভয়াবহ বন্যায় এ উপজেলায় ১ হাজার ১শ ২৩টি গবাদিপশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হাঁসমুরগীর খামারে সংখ্যা ৬শ ৪৭টি। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি টাকা। পশু ও পাখির খাবার নষ্টের আর্থিক মূল্য হচ্ছে ২ কোটি টাকা। বিনষ্ট খড়ের আর্থিক মূল্য হচ্ছে ৮ কোটি টাকা। বিনষ্ট ঘাসের আর্থিক মূল্য হচ্ছে ২ কোটি টাকা। মৃত পশু ও পাখির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।
সূত্রে আরও জানা যায়, বন্যায় এখানে মারা গেছে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ গবাধি পশু ও পাখি। প্লাবিত হয়েছে ৩৪১ একর গরু চারণ ভূমি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রাথমিকভাবে এখানে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে ৪৪ কোটি টাকা। চূড়ান্ত পর্যায়ে এর পরিমাণ আরো অনেক বেড়ে যাওয়ার সম্বাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারী ও সাধারণ কৃষকরা তাদের গবাধিপশু ও সম্পদ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেক খামারী। ধার-দেনা পরিশোধ নিয়ে তারা খুবই দুঃচিন্তায় দিন কাটছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব খামারিরা সরকারিভাবে কিছু সহায়তার জন্য বিভিন্ন অফিসে ছোটাছুটি করছেন। বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারিভাবে কোন সহায়তা পাবেন কিনা তাও সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিগণ চরম হতাশার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশরাফুজ্জামান বলেন, বন্যা চলমান অবস্থায় আমরা গোখাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্ধ আসলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবো।

Share This

COMMENTS