শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">বিভিন্ন মিডিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম</span> <span class="entry-subtitle">‘গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!'</span>

বিভিন্ন মিডিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম ‘গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!'

৩০ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম হয়েছে, ‘গ্রেপ্তারের তালিকায় ৯০ পুলিশ কর্মকর্তা!’

এ খবরে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হামলা ও গুলি করে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং নিরীহ লোকজনকে হত্যার অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বেশিরভাগ মামলার আসামিই আছেন আত্মগোপনে। সাবেক দুই আইজিপিসহ অন্তত ১০-১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এতে বর্তমান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারা কেউ কেউ ভুগছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। সাবেক ও বর্তমান অন্তত ৯০ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের তালিকায় আছেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে বলে এই খবরে বলা হয়েছে।

            তা ছাড়া, অনুপস্থিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের যেকোনো সময় বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অন্তর্র্বতী সরকার অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্য সদস্যদের কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশ দিলেও তারা কাজে যোগ দিচ্ছেন না। এতে করে পুলিশের তথ্যানুযায়ী এখনো ১৮৭ জন অনুপস্থিত আছেন কর্মস্থলে। এই সংখ্যা আরো বাড়তেও পারে।

            সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম হয়েছে ‘সরকারের নানা কাজে অসন্তোষ বিএনপি’র। এ খবরে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে সরকারের বিভিন্ন কাজে অসন্তোষ জানিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে এসব দাবি করা হয়েছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা পদায়ন করেছেন বলে অভিযোগ বিএনপির।

            এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবার দাবি জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

            বাম গণতান্ত্রিক জোট সংস্কারের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে। দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে এবি পার্টি।

            রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

            নয়া দিগন্তের একটি শিরোনাম- ‘বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের জন্য নতুন উপদেষ্টার সন্ধানে সরকার’। এ খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন নতুন এক উপদেষ্টার খোঁজা করা হচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। একই সাথে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিলেন এমন একজন সাবেক সচিবকেও মন্ত্রণালেয়ের দায়িত্ব দেয়ার জন্য লিস্টে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

            জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার জন্য দু’টি বড় শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধারদের অনুরোধ করা হয়েছে। এর একজন জানিয়েছেন, তার পক্ষে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো সম্ভব হবে না। অন্যজন তার মতামত এখন পর্যন্ত জানাননি।

            অপর দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক সচিবের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি এই দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন। তবে এর বাইরেও আরো দু’জন সাবেক আমলার নামও এই মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন নতুন উপদেষ্টার দেখা মিলতে পারে। ‘সংলাপে নির্বাচনই প্রাধান্য’ প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার একটি শিরোনাম। অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো।

            এসময় বিএনপি দ্রæত নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠন ও সংস্কার একসঙ্গে এগিয়ে নেয়া হবে, যাতে একটা দ্রæত নির্বাচন করা যায়। নবগঠিত সংস্কার কমিশন ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সামনে রেখে শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

            এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীদের এই সংলাপের বাইরে রাখা হয়েছে। জাতীয় পার্টিকে এখন পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে, আগামী শনিবার আরও কয়েকটি দলকে সংলাপে ডাকা হতে পারে বলে জানা গেছে। গত শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ছয়টি কমিশন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলবে। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। এরপর ওই প্রতিবেদন নিয়ে আবার অন্তর্র্বতী সরকার রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সুত্র: বিবিসি

Share This