চৌদ্দগ্রামে ড্রেনের ওপর ¯øাব না থাকায় শিক্ষার্থীসহ জনগনের চলাচলে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিনিধি\ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ্ববর্তী জনবহুল এলাকা চৌদ্দগ্রাম বাজার। এ বাজার সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী চৌদ্দগ্রাম এইচ.জে.পাইলট মডেল সরকারী হাইস্কুল, চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, চৌদ্দগ্রাম নজুমিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, চৌদ্দগ্রাম সরকারী কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী, বহু সরকারী ও বে-সরকারী হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের হাজারো রোগী চৌদ্দগ্রাম বাজারের ফুটপাত দিয়ে নিত্য চলাচল করে।
এছাড়াও প্রতিদিন উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো নারী-পুরুষ এই ফুটপাত ব্যবহার করে কেনাকাটা করার জন্য চৌদ্দগ্রাম বাজারে আসেন। পৌর এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ এই বাজারটিতে মহাসড়কের দুই পাশে ফুটপাতের উপর বসানো ড্রেনের ডাকনা (¯øাব) একাধিক স্থানে ভেঙে পড়ে ড্রেনের পুরো অংশই খালি হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়াবদা রোড, জামে মসজিদ রোড, বাজারের দক্ষিণ পাশে মতিন মাইকের দোকানের সামনে অনেকাংশে ড্রেনের উপর ¯øাব নেই।
¯øাব ভেঙে যাওয়ায় প্রতিদিন স্কুল-কলেজের এবং সাধারন মানুষের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। বিভিন্ন সময়ে ¯øাবের খালি অংশে পড়ে একাধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে। বিশেষ করে বাজারের ব্যস্ততম এ এলাকায় রাতের অন্ধকারে ঢাকনাবিহীন ড্রেন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনে বিভিন্ন অংশে ¯øাব না থাকায় ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-জীবাণু। এছাড়া ড্রেনের ওপরে ডাকনা ও ডাস্টবিন না থাকায় অবাধে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী ও বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন গিয়ে বাজারের জামে মসজিদ সড়কে ঢাকনা বিহীন ড্রেনের উপর দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায়। চৌদ্দগ্রাম বাজার জামে মসজিদ এলাকার ব্যবসায়ী সবুর মিয়া বলেন, ড্রেনের বিভিন্ন অংশে ঢাকনা না থাকায় আমাদের দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শেষ নেই। ড্রেনের আশপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ময়লা-আবর্জনা, টয়লেটের ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ড্রেনেই ফেলছে। ফলে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি আমরা।
বাজারের ন্যাশনাল ব্যাংক এলাকার ব্যবসায় লিয়াকত আলী জানান, ড্রেনের ডাকনা না থাকার কারণে দুর্গন্ধে চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। দ্রæত ডাকনা নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান জানান, ঢাকনাহীন ড্রেন সত্যি ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি সরেজমিন দেখে দুর্ঘটনা এড়াতে ড্রেনের ওপর ঢাকনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।