বুধবার, ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক ইউনূস

ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অধ্যাপক ইউনূস
১৮৯ Views

ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে তারা দেশজুড়ে জনগণকে সংগঠিত করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সময় তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রধান বৈদেশিক বিষয়ক ভাষ্যকার গিডেয়েন র‌্যাচম্যানের উপস্থাপনায় ‘র‌্যাচম্যান রিভিউ’ নামক পডকাস্টে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ওই কথোপকথনের লিখিত সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি যে দুটি সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করেছেন, তা যথাযথ, কারণ জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা তার লক্ষ্য। তিনি এ দিক থেকে সরে আসতে চান না।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “একটি সম্ভাবনা হলো ছাত্ররা নিজেরাই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবে। যখন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হচ্ছিল, তখন আমি তিনজন ছাত্রকে এতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। কারণ, আমি মনে করি তারা দেশকে নতুন প্রাণ দিতে পারে। এখন তারা বলছে, কেন আমরা নিজেদের দল গঠন করছি না? তারা মনে করে, আমার নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান নেই, এমনকি সংসদে কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তবে আমি তাদের বলেছি, পুরো জাতি তাদের চেনে, এবং তাদের উদ্যোগের জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত।”

তবে দল গঠনের প্রক্রিয়ায় কিছু চ্যালেঞ্জও থাকতে পারে বলে মনে করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে প্রবেশ করলে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি তাদের প্রভাবিত করতে পারে। আমরা জানি না তারা বিদ্যমান রাজনীতি থেকে নিজেদের আলাদা রাখতে পারবে কি না। তবে তারা প্রস্তুত এবং দেশব্যাপী প্রচারণা চালাচ্ছে।”

পডকাস্টে উপস্থাপক আরও বলেন, কিছু ভারতীয় বিশ্লেষকের মতে, বাংলাদেশ এখন সংকটের মুখে এবং ইসলামপন্থিরা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এর জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমি এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না। তরুণরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তারা কোনো খারাপ কিছুর সঙ্গে জড়িত নয় বা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে না। তারা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মূল্যবান বিষয়গুলো রক্ষা করতে চায়, যাতে সেগুলো অন্যদের হাতে না চলে যায়, যারা বিগত প্রশাসনের মতো পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। সুতরাং, আমি মনে করি, ছাত্রদের অভিপ্রায় স্বচ্ছ এবং ইতিবাচক।”

Share This