রবিবার, ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের যানবাহন সংকট নিরসনে নতুন বরাদ্দ

পুলিশের যানবাহন সংকট নিরসনে নতুন বরাদ্দ

২৪ Views

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বেশ কিছু থানা ও পুলিশের কয়েক শ যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে থানাগুলো কার্যক্রম চালু করলেও যানবাহনের অভাবে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এ সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার ৪৩১টি নতুন যানবাহন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর ৭২২টি যানবাহন কেনার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আন্দোলনের সময় সারাদেশে ৪৫৫টি পুলিশ যানবাহন পুড়ে যায় এবং মোট ১,০৭৪টি যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ৪৩১টি যানবাহন কেনার জন্য ২৭৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম হুমায়ুন কবির সরকার জানান, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে যানবাহন কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও যানবাহন কেনা হবে।’

সরকারি তালিকা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে দেশের ১০৫টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে যাওয়া যানবাহনের মধ্যে রয়েছে—১৩টি জিপ, ১৭৩টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৫৬টি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ, ১২টি প্যাট্রোল কার, ১২টি মাইক্রোবাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ১২টি ট্রাক, ২টি বাস, ২টি প্রিজন ভ্যান, ১৫৬টি মোটরসাইকেল, ৮টি রেকার, ৪টি এপিসি, ১টি জলকামান ও ২টি ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট ভ্যান।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, যানবাহন সংকট কাটিয়ে কার্যক্রম সচল রাখতে ৩৮টি জিপ, ২৫০টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৫৬টি সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ, ১২টি প্যাট্রোল কার, ১২টি মাইক্রোবাস, ২টি অ্যাম্বুলেন্স, ২০টি ট্রাক, ২টি বাস, ১২টি প্রিজন ভ্যান, ২৮৫টি মোটরসাইকেল, ৮টি রেকার, ৪টি এপিসি, ১টি জলকামানসহ মোট ৭২২টি নতুন যানবাহন কেনার প্রস্তাব পাঠানো হয়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে পুলিশের মোটরযান কেনার জন্য বরাদ্দ ছিল ৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কিন্তু আন্দোলনের সময় যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অতিরিক্ত বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩০টি জিপ, ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৮টি মাইক্রোবাস, ১৬টি ট্রাক, ৪টি বাস, ১৫২টি মোটরসাইকেল, ৮টি রেকার, ৪টি এপিসি এবং ১টি ডগ ভ্যানসহ ৪৩১টি যানবাহন কেনার অনুমোদন দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এপিসি ও রেকার কেনা হবে, আর অন্যান্য যানবাহন কেনা হবে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে। প্রতিটি এপিসির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা, রেকারের ২ কোটি টাকা, জিপের ১ কোটি ৭০ লাখ, ডাবল কেবিন পিকআপের ৮০ লাখ, সিঙ্গেল কেবিন পিকআপের ৬৫ লাখ, প্যাট্রোল কারের ৪৮ লাখ, মাইক্রোবাসের ৬০ লাখ, মোটরসাইকেলের ৩ লাখ ৫০ হাজার এবং ডগ ভ্যানের ৭৫ লাখ টাকা।

Share This