অবশেষে স্বতন্ত্র ১৫১৯ ইবতেদায়ি মাদরাসার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়


ষ্টাফ রিপোর্টার\ চার দশকের অবহেলা ও আন্দোলনের পথ পেরিয়ে এবার আশার আলো দেখছে দেশের ১,৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা। বহুদিন ধরে বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত এসব মাদরাসার শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। অবশেষে সরকার তাদের কথা শোনার পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে এসব মাদরাসার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে, যা এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।
গত সোমবার (৫ই মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ একটি চিঠি পাঠিয়েছে সব জেলা প্রশাসকের কাছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত ফরমে এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্য ১৫ই মে’র মধ্যে জমা দিতে হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এই মাদরাসাগুলোর জন্য এমপিও সুবিধা দিতে ১৬ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ ছাড়ের পরই শিক্ষকরা পাবেন সরকারি অংশের বেতন।
শিক্ষকরা অবশ্য শুধুমাত্র এমপিওভুক্তিকেই যথেষ্ট মনে করছেন না। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, এসব মাদরাসাকে জাতীয়করণ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সমমর্যাদা দেয়া হোক। তাদের যুক্তি, তারা একই বয়সের শিক্ষার্থীকে, একই পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা দিচ্ছেন; অথচ জাতীয় স্বীকৃতি ও সুবিধা থেকে বছরের পর বছর বঞ্চিত। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা, পেনশন ও সম্মানজনক জীবনযাপন থেকে তারা অনেকটাই ছিটকে পড়ছেন।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের ধর্মভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার এক বিশাল অংশ অন্তর্ভুক্ত হবে সরকারি কাঠামোয়। এটি যেমন শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করবে, তেমনি ইবতেদায়ি শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন শুধু প্রয়োজন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রæত কাজগুলো দ্রæত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করা।