রবিবার, ২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চৌদ্দগ্রামে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় সড়ক ও কালভার্ট ভেঙে জনসাধারনের যাতায়াতে ভোগান্তি

চৌদ্দগ্রামে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় সড়ক ও  কালভার্ট ভেঙে জনসাধারনের যাতায়াতে ভোগান্তি
৩০ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাকের চাপে চৌদ্দগ্রামে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি ব্রিজ ও দু’টি কালভার্ট ভেঙে মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। উপজেলার নালঘর, চৌমুহনী ও সৈয়দপুর নারায়ণপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় থাকলেও ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে বিভিন্ন যানবাহনসহ স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থী, পথচারী ও স্থানীয় জনগণের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

            স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নালঘর-চৌমুহনী বাজার সড়ক ও সৈয়দপুর-নারায়নপুর সড়কে প্রতিদিন মোটর সাইকেল, ব্যাটারি চালিত রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে হাজার হাজার মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ রাস্তায় যাতায়াত করে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে ব্রিজ-কালভার্টের ভাঙা অংশে দুর্ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে নালঘর-চৌমুহনী বাজার সড়কের বসুয়ারা ও কৈয়নী এলাকায় দু’টি কালভার্ট, সৈয়দপুর-নারায়নপুর সড়কের নারায়নপুর ব্রিজ ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগে নিচ্ছে না কেউ।

            ভাঙা ব্রিজ-কালভার্টে পড়ে প্রায়ই নারী-পুরুষ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বসুয়ারা গ্রামের ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, মাটি খেকোরা রাতের অন্ধকারে ড্রাম ট্রাকে করে অবৈধভাবে মাটি কেরিং করে। এতে গ্রামীণ সড়কের কালর্ভাটগুলো ভেঙে পড়ছে। ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন ও আকতারুন নাহার বলেন, ‘সন্ধ্যায় আতœীয়ের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে ভাঙা কালভার্টে পড়ে যাই। এতে করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। দ্রæত ভাঙা কালভার্ট সংস্কার বা মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।’

            চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী অনেক কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের চলাচলে সমস্যা বিবেচনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রæত ভাঙা ব্রিজ ও কালভার্ট সংস্কার করা হবে।’

Share This

COMMENTS