গত তিন নির্বাচনে ‘সার্টিফিকেট’ দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন নয়: সিইসি


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “যেসব বিদেশি পর্যবেক্ষক আগের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ‘সার্টিফিকেট’ দিয়ে সেগুলোকে গ্রহণযোগ্য বলেছিল, তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অনুমোদন দেওয়া হবে না।”
মঙ্গলবার (আজ) ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি। তিনি জানান, নির্বাচনকে অবাধ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে ইসি নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশন কানাডার সহায়তা চেয়েছে। কারণ, কানাডায় সাম্প্রতিক নির্বাচনেও এআই ব্যবহারের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সিইসি বলেন, “আমরা এআই অপব্যবহারকে একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখছি। তাই কানাডার কাছ থেকে জানতে চেয়েছি, তারা কীভাবে বিষয়টি সামলেছে।”
বৈঠকে ভোটার সচেতনতা, নারী ভোটারের অংশগ্রহণ এবং পার্বত্য অঞ্চলে ভোটার শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় সিইসি জানান, ইসি দেশজুড়ে ভোটার সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কানাডা এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতায় আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
ভোটের তারিখ নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন কিনা—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, “তিনি জানতে চেয়েছেন নির্দিষ্ট কোনো তারিখ হয়েছে কি না। আমি বলেছি, ‘না’। সময়সীমা নিয়ে আলোচনা হয়নি। সময় জানার বিষয়ে আমি যা জানি, আপনারাও তা-ই জানেন। ভোটের তারিখ ঠিক হলে দুই মাস আগে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত। ইইউকে বলা হয়েছে, তারা যেন আগেভাগেই তাদের ২৮ দেশের পর্যবেক্ষকদের সমন্বিতভাবে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়।
সিইসি আরও বলেন, “যারা আগের তিনটি নির্বাচনকে ‘চমৎকার’ বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে, তাদের কেন অনুমোদন দেব? আমরা অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল পর্যবেক্ষকই বেছে নেব। যাদের অতীতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তারা এবার অনুমোদন পাবে না।”