বৃহস্পতিবার, ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলে এলপি গ্যাস রিফিলকালে ৩ জন হাতেনাতে আটক

বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলে এলপি গ্যাস  রিফিলকালে ৩ জন হাতেনাতে আটক
১৫৩ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন কোম্পানীর বোতলে এলপি গ্যাস রিফিলকালে ভ্রাম্যমান আদালত ৩ জনকে কারাদন্ড দিয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের আদালত গত শনিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের ঢুলী নছরুদ্দীতে এ কারাদন্ড প্রদান করেন।

            সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান,  উপজেলার ঢুলী নছরুদ্দীতে ঢালি হাউজে অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাসের বোতলজাতকরণ এবং বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে অনুমতি ছাড়া লেভেলিং করে গ্যাস সিলিন্ডার তৈরি ও বিপণনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান করা হয়। এসময় নেওয়াজ নামক এক কোম্পানির গ্যাসের বড় বোতল থেকে একটি মটর যন্ত্রের মাধ্যমে অধিক মুনাফার আশায় বসুন্ধরা, ফ্রেশ, যমুনা, ওমেরা, ডেলটা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের লোগোসমৃদ্ধ সিলিন্ডার বোতলে অবৈধভাবে ও অনুমতি ছাড়া গ্যাস ট্রান্সফার করতে দেখা যায়।

            এতে একদিকে যেমন গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে অবৈধ ও অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত গ্যাস ট্রান্সমিশনের ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ এর মারাত্মক আশংকা তৈরি হচ্ছে।

            দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার এরশাদ হোসাইন জানান, এখানের শতশত সিলিন্ডারের মধ্যে একটির বিষ্ফোরণ হলেই বিশাল অগ্নিসংযোগ সংঘটিত হবার ঝুঁকি রয়েছে। এতে এ বাড়ি ও তার আশেপাশের এলাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। এছাড়া এ সিলিন্ডার ব্যবহারকারীদের বসতবাড়িতেও অগ্নিসংযোগ ঘটার আশংকা রয়েছে, কেননা সিলিন্ডার প্যাকেজিং ও লেভেলিং-এ ন্যূনতম নিরাপত্তা রক্ষা করা হচ্ছে না। এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করা হলে তারা প্রত্যেকেই দোষ স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় অলি উল্লাহর মেয়ে ফেরদৌসী, মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে আ. হাকিম ও আ. মমিন মিয়ার ছেলে হাবিব হাসানকে আটক করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রয়োগ করে সেবাগ্রহীতার জীবন হানিকর এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য  প্রত্যেককে  ১ (এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

            অভিযুক্ত ফেরদৌসীর স্বামী আব্দুস সালাম বাইরে থেকে এ ব্যবসায়ের মালামাল যোগান এবং অন্যান্য সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। অপরদিকে তার স্ত্রী ফেরদৌসী ভেতরে অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ইতোপূর্বেও এখানে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করাসহ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও কর্মরত শ্রমিকদের থেকে ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আর করবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয়েছিল। তারপরও তারা এ কাজ বন্ধ না করে আগের চেয়ে আরো ব্যাপকভাবে চালাচ্ছেন বলে সরেজমিনে দেখা যায়।

            এ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন দাউদকান্দি মডেল থানা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

Share This

COMMENTS