লালমাইয়ে একরাতে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি


প্রদীপ মজুমদার\ কুমিল্লার লালমাইয়ে একরাতে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাত দল ২ জনকে কুপিয়ে আহত করেছে। গুরুতর আহত আমিন মেম্বারকে প্রথমে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতাল পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসক। গত ২৪শে সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের আমিন মেম্বারের প্রবাসী ছেলে শাহজালালের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আমিন মেম্বারের ছেলে কামরুল ইসলাম রাশেদ জানান, ‘আমার আব্বা আম্মা ভাই নতুন বাড়িতে থাকে। রাত ৩ টার দিকে আমার প্রবাসী ভাই শাহজালাল আমাকে ফোন করে জানান, বাড়িতে ডাকাত ডুকেছে। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘটনাটি প্রচার করা হয়। আমি পুরান বাড়ি থেকে লাঠি হাতে এসে দেখি ডাকাতরা বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি চিৎকার করলে তারা আমাকে ককটেল ছুড়ে মারে। এসময় আমার গ্রামের কয়েকজন এগিয়ে আসে ককটেলের ধোঁয়ায় সব অন্ধকার হয়ে গেলে ডাকাতরা চলে যায়। ভিতরে গিয়ে দেখি আমার আব্বাকে মাথার পিছনের অংশে কুপিয়েছে, রক্ত ঝরছে। আমার ভাইকে মেরে আহত করেছে। মা ও ভাবির নিকট থাকা স্বর্ণালংকার অস্ত্র উঁচিয়ে নিয়ে গেছে। নগদ টাকা ছিলো তাও নিয়ে গেছে। স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে তছনছ করে যা ছিলো সব নিয়ে গেছে। ডাকাতেরা ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ছিলো। আমার আব্বাকে নিয়ে প্রথমে লাকসাম হাসপাতালে গেলে সেখানে রাখে নাই। পরবর্তীতে কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরিস্থিতি অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
একই গ্রামের রফিক মিয়া জানান, ‘ডাকাতির ঘটনায় মসজিদের মাইকে খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে যাওয়ার সময় ডাকাতদল ৩টা ককটেল ছুড়ে। এতে ধোঁয়ায় সব অন্ধকার হয়ে যায়। দরজা ভেঙ্গে ঘরে ডাকাত দল প্রবেশ করেছে।
এছাড়া উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামের প্রবাসী কবির হোসেনের বাড়িতেও ওই রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়েছে বলে জানা যায়। লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহ আলম জানান, দুই জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। একজনের অবস্থা আশংকাজনক। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।