শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদালতের এজলাস থেকে সরানো হচ্ছে আসামি রাখার লোহার খাঁচা

আদালতের এজলাস থেকে সরানো হচ্ছে আসামি রাখার লোহার খাঁচা

দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা ও দাবির মুখে অবশেষে আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের রাখার লোহার খাঁচা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনার পর খাঁচাগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এরইমধ্যে গতকাল (১৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়েছে।

সিএমএম আদালতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর শুক্রবার থেকে আদালত কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবী। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন।

ঢাকাসহ দেশের নিম্ন আদালতের এজলাসকক্ষে কাঠগড়ার (কোমর পর্যন্ত কাঠের বেস্টনি) বদলে লোহার খাঁচা ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব পিঞ্জর বা লোহার খাঁচায় মামলার শুনানির সময় আসামিদের রাখা হয়। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে খাঁচার মধ্যেই থাকতে হয় দীর্ঘ সময়। এদিকে কাঠগড়া উঠিয়ে লোহার খাঁচা রাখার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছিলেন, বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অভিযুক্তকে প্রকাশ্য আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দি করে নিরপরাধ ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার ভঙ্গ করা হচ্ছে। আদালত কক্ষে এভাবে আসামিকে লোহার খাঁচায় ঢোকানো অমানবিক ও সংবিধান পরিপন্থি। একইসঙ্গে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধানেরও পরিপন্থি। তারা বলছেন, এই ব্যবস্থা আর থাকা উচিত নয়।

Share This

COMMENTS