শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গোমতী চরে জোর করে ফসলি জমির মাটি লুট

গোমতী চরে জোর করে ফসলি জমির মাটি লুট

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী চরের মালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় কয়েকজন ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে তা বন্ধ করে দেয়। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের গোমতীর চরে এ ঘটনা ঘটে।

            স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রহুল আমিন, এমরান হোসেন ও স্বপন মিয়া জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে গোমতী চরের উর্বর মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিল। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শত শত কৃষক। মাটিবাহী ট্রাক চলাচলে পাকা সড়কগুলো খানাখন্দে নষ্ট হয়ে যায়। মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়ে চলেছে, আমরা এই ভূমিখোকোদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।

            ভুক্তভোগী জমির মালিকদের মধ্যে শাহজাহান সাজু, হাবিব ও কামাল হোসেন বলেন, এটি আমাদের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া কৃষি জমি। এই চরে আমরা বিভিন্ন ফসল ফলাই। স্থানীয় ভূমিদুস্য জাহাঙ্গীর আলম টিটু ভূঁইয়া, শাহ আলম ভূঁইয়া, মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সফিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ভূমিদস্যু আমার এ চরের কৃষি জমি থেকে জোর পূর্বক মাটি লুট করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। আমি খবর পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তা বন্ধ করে দেয়। চরের এ  জমিতে গত বছরও তারা জোর করে মাটি লুট করে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমি আদালতে আবেদন করলে আদালত তাতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ওই চক্রটি আজ মাটি কাটার চেষ্টা করে।

            এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ প্রথম এ মাটির ব্যবসা শুরু করেছি। পুলিশ এসে বাধায় দেয়ায় মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি আর এ ব্যবসা করব না। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, গোমতীর চরে বেআইনীভাবে মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়।

Share This