নাঙ্গলকোটে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সদ্য বিদায়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, অফিস স্টাফদের নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির তথ্যগুলো ছড়াছড়ি হওয়ার পূর্বেই তিনি নানাহ কলা-কৌশলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা শিক্ষা অফিসে বদলি হয়ে যান। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস, মোহাম্মদ মহিব উল্লাহ, হোসাইন আহম্মদ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিনহাজ উদ্দিন ২০২০-২১ অর্থ বছরের ¯িøপের টাকা, করোনা সামগ্রী বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা, রুটিন মেইন্টেন্সের ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৮০ হাজার টাকা, এপিএসসি ডাটা ভেলিডেশন বাবদ ১২ হাজার টাকা, শিক্ষা অফিসের নীড বেজড ফার্ণিচার বাবদ ৫০ হাজার টাকা, সহকারী শিক্ষা অফিসারদের ইন্টারনেট বিল, কন্টিজেন্সী বিল, ২০২১-২২ অর্থ বছরের স্টাফদের জ্বালানী বাবদ ১০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাত করেন।
অভিযোগকারী সহকারী শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস ও হোসাইন আহমেদ বক্তব্য দিতে তারা অস্বিকৃতি জানান।
সদ্য বিদায়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমি পহেলা নভেম্বর দেবিদ্বার উপজেলায় যোগদান করেছি, এ বিষয় আমি অবগত না।
নব যোগদানকৃত উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরীফ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সময়কালে কোন বরাদ্ধ আসে নাই বিধায় আমি কিছু জানি না। তবে বিগত ৩ অর্থ বছরের বরাদ্ধ বাবদ ১টি চেয়ার, ২টি টেবিল আমাদের কার্যালয়ে এসেছে এবং অফিস সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে।