শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নামাজ মুমিনের জন্য মেরাজ স্বরূপ

নামাজ মুমিনের জন্য মেরাজ স্বরূপ

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ পবিত্র রজব মাসেই মেরাজের মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর ফরজ করা হয়েছে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। তাই নামাজ মুমিনের জন্য মেরাজ স্বরূপ। গত শুক্রবার জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে মসজিদের খতিব এসব কথা বলেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেছেন, আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহ আখেরি নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে দুনিয়ায় পাঠিয়ে মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথের সন্ধান দিয়ে ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুনিয়ার প্রতি বেশি আকৃষ্ট ব্যক্তিরা সবচেয়ে বোকা। আল্লাহর প্রিয় বন্দারা নির্লোভ হন।

            খতিব বলেন, ঈমান পাওয়ার কারণে দুনিয়ার লোভ লালসায় আখেরাতের পথহারা হওয়া যাবে না। দৌলত হচ্ছে ঈমান। ঈমানকে হেফাজত করতে হবে। ঈমান আনার কারণে অনেক মানুষকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখী হতে হয়েছে। খতিব বলেন, আমরা সবাই দুনিয়া থেকে চলে যাবো তবে কী নিয়ে যাবো তা’ ভেবে দেখতে হবে। রাসূল (সা.) এর আদর্শকে বিনা শর্তে অনুসরণ করতে হবে তা’হলে আখেরাতে নাজাত পাওয়া যাবে। মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন সমস্ত মাখলুকাত তাকে ভালোবাসবেন। আল্লাহ সবাইকে বেশি বেশি নেক আলম করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

            মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী একইদিন জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রাসূল (সা.) এর মেরাজের মাস রজব। এ মাসেই আল্লাহ তার বন্ধু হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সপ্তম আসমান পরিভ্রমন করে তার সান্নিধ্যে ডেকে নিয়ে তার দিদার লাভে ধন্য করেছেন। রজব মাসে এই মেরাজের মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মাদীর উপর ফরজ করা হয়েছে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। তাই নামাজ মুমিনের জন্য মেরাজ সরূপ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমেই মুমিন পরকালে জান্নাত লাভে ধন্য হবে।

            খতিব বলেন, ইসলামে ১২ মাসের মধ্যে হারাম মাস চারটি। এর মধ্যে রজব মাস অন্যতম। এ মাস আল্লাহর নিকট বড় সম্মানিত। এ মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ হারাম। এ মাস রমজানের বারাকাত হাসিলের প্রথম মাস। এ মাস থেকেই রমজানে ইবাদাতের প্রস্তুতির জন্য উৎসাহ প্রদান করত: অধিক পরিমাণে দোয়া করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেন, তোমরা যখন রজব মাসে প্রবেশ করবে তখন অধিক পরিমাণে পড়তে থাকবে “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রমাযান” এসব কারণে রজব মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রজব মাস থেকে সর্ব প্রকার গুনাহের কাজ পরিহার করে অধিক পরিমাণে উল্লেখিত দোয়া পাঠ ও আল্লাহর ইবাদাতে মশগুল থাকার তাওফিক দান করেন, আমিন।

Share This