বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">প্রশাসনের দূর্বলতায় কুমিল্লায় শতাধিক পুকুর-জলাধার ভরাট</span> <span class="entry-subtitle">সামান্য বৃষ্টিতেই শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা </span>

প্রশাসনের দূর্বলতায় কুমিল্লায় শতাধিক পুকুর-জলাধার ভরাট সামান্য বৃষ্টিতেই শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা

২৪ Views

            আবদুর রহমান\ এক সময় ‘পুকুরের শহর’ হিসেবে সুনাম থাকলেও এখন সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় খবরের শিরোনাম হতে হয় কুমিল্লাকে। পুকুর-জলাধার ভরাট হতে হতে এখন আর পানি ধরার কোনো স্থান নেই; ফলে জলাবদ্ধতাই নগরীর নিয়তি হয়ে উঠেছে।

            সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দুই যুগে কুমিল্লা শহর শতাধিক পুকুর ও জলাশয় ভরাট করা হয়েছে। চোখের সামনে এসব পুকুর ও জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবনসহ অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও প্রশাসন তাতে ভ্রæক্ষেপ করেনি। উপরন্তু সরকারিভাবেও অনেক পুকুর-জলাশয় ভরাট করার অভিযোগ রয়েছে।

            আইন ভেঙে এসব জলাধার ভরাট করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর তৎপরতা হাঁকডাকেই সীমাবদ্ধ। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা কিংবা আইনি ব্যবস্থা একেবারেই হাতেগোনা। বরং অভিযোগ আছে, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে এসব জলাধার ভরাট করে জেনেশুনে পরিবেশের সর্বনাশ করা হয়েছে।

            কুমিল্লার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন এমন কয়েকজন এবং বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর কুমিল্লা শহরে ৮০০ বেশি পুকুর ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা ২০০ এর নিচে নেমেছে। এর মধ্যে গত ২৩ বছরে ভরাট করা হয়েছে ‘শতাধিক’ পুকুর।

            শহরের বাসিন্দারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে শত বছরের প্রাচীন ১৩৫ শতকের একটি পুকুর পুরোপুরি এবং ১২০ শতকের আরেকটি পুকুরের ৪০ শতাংশ ভরাট করা হয়েছে। নগরীর দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার ২৫০ বছরের পুরাতন ঐতিহাসিক হাতিপুকুরের একাংশ; একই এলাকায় শত বছরের প্রাচীন নারায়ণ পুকুরের উত্তর পাশের ৩৪ শতাংশ, নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া ঈদগাঁ ও মসজিদ সংলগ্ন শত বছরের প্রাচীন বড়বাড়ির পুকুর, একই এলাকায় প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন কাজীপুকুর কয়েক বছরের মধ্যেই ভরাট করা হয়েছে।

            বিভিন্ন সময়ে আংশিক ভরাট হয়েছে ৩০০ বছরের পুরানো ছোটরা জংলিবিবি পুকুরও। বর্তমানেও পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা অব্যাহত থাকতে দেখা গেছে। ২৩ বছরের মধ্যে ভরাট হওয়া শতাধিক পুকুরের আরও কয়েকটি হল- ঝাউতলা খান সাহেবের পুকুর, লাকী হাউসের পুকুর, কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার পাশের দু’টি পুকুর, নাদিপা হাউজিং পুকুর, দক্ষিণ চর্থা থিরা পুকুর, নগরীর উত্তর চর্থার তেলিয়া পুকুর, সংরাইশ এলাকার কালীমন্দির পুকুরসহ তিনটি পুকুর, কুমিল্লা অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের সুপারিবাগানে দু’টি পুকুর, দারোগাবাড়িতে বড় আন্দরের পুকুর, কুমিল্লা নগরীর ফরিদা বিদ্যায়তনের দক্ষিণ পাশে জনাদের পুকুর, ঝাউতলা খ্রিস্টান পাড়ার পুকুর, প্রফেসর পাড়ার চারটি পুকুর, কোতোয়ালি থানার পেছনের দু’টি পুকুর, কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের কয়েকটি পুকুর, ধর্মসাগর দিঘির পাড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পুকুর।

            বিগত সময়ের প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভরাট হওয়ার পর একটি পুকুরও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেনি প্রশাসন। লাগামহীনভাবে পুকুরসহ বিভিন্ন জলাধার ভরাটের কারণে বর্তমানে কুমিল্লা নগরীতে আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে জলাবদ্ধতা।

            এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশবিদরা বলেছেন, বাকি যে কয়টি পুকুর রয়েছে সেগুলো রক্ষায় এখনই কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে। না হলে পুকুরের শহর কুমিল্লায় কোনো পুকুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।

  কুমিল্লা নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকার খ্রিষ্টান পাড়ায় ২০১৫ সালের দিকে ভরাট করা হয় বড় দু’টি পুকুর। এর মধ্যে বর্তমানে একটি পুকুরের ওপর পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করছেন মোহাম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি। কীভাবে পুকুরের ওপর ভবন তোলা হচ্ছে, এ তথ্য জানতে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়; এরইমধ্যে ভবনটির তিনতলার কাজ শেষ হয়েছে। তবে বাড়িতে গিয়ে মোহাম্মদ ইউসুফকে পাওয়া যায়নি। পরে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, “আমার স্বামী প্রবাসী। ২০১৮ সালে এই জমি কিনে বাড়ির কাজ শুরু করেছেন তিনি। এখনও কাজ শেষ হয়নি।”

            রোকসানার দাবি, এই বাড়ি সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়েই নির্মিত হচ্ছে। এই জমিতে আগে পুকুরে ছিল বলে তারা জেনেছেন; কিন্তু তারা ভরাট করেননি।

পাশেই আরেকটি বড় আকৃতির পুকুর ভরাট করেছেন খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তির পরিবার। ভরাটের পর এক পাশে নির্মিত হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্য পাশে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা চলছে। খোরশেদ আলমের বাড়িতে গেলে কথা বলার মত কাউকে পাওয়া যায়নি। পুকুরের ওপর নির্মিত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কথা বলতে গেলেও এ নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

            এলাকার ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেন, দু’টি পুকুরই ছিল শতবর্ষী। ভরাটের সময় স্থানীয়দের অনেকে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখানে ভরাট করে দোকানপাট ও বাড়ি সবই হয়েছে। বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, এলাকায় আগুন লাগলে নেভানোর জন্য একটু পানি পাওয়া যাবে না। বর্ষীয়ান ওই ব্যক্তি বলেন, প্রায় এক দশক আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের পাশেই শহীদ সামছুল হক সড়কে ওয়াপদা অফিস এলাকায় প্রয়াত হাফিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা বিশাল আকৃতির একটি পুকুর ভরাট করেছেন। সেখানে এরই মধ্যে দু’টি বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে ১৩ তলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে ওই এলাকায়। নির্মাণাধীন এই ভবনের অর্ধেক পড়েছে পুকুরের ভেতরে।

            স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর ভরাটের পর প্রয়াত হাফিজ উদ্দিনের চার মেয়ের মধ্যে তিন মেয়েই তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেখানেই এসব ভবন উঠেছে। কেবল বড় মেয়ে রানু এখনও তার সম্পত্তি বিক্রি করেননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ওই পুকুরের ওপর ভবন নির্মাণকারীরাও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাদের সবার ভাষ্য, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়েই তারা ভবন নির্মাণ করছেন।

            কুমিল্লার ইতিহাসবিদ ও গবেষক আহসানুল কবীর বলছেন, “এক সময় কুমিল্লায় মানুষ ছিল কম। প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনেই পুকুর ছিল। কোনো কোনো বাড়িতে দু’টি পুকুরও ছিল। আমাদের বাসা নগরীর বজ্রপুরে; আমার জন্মের পর এই এলাকায় সাত থেকে আটটি পুকুর দেখেছি। সেগুলোর এখন অস্তিত্ব নেই; পুকুরের জায়গায় উঠেছে বহুতল ভবন। কুমিল্লায় আগে অনেক দীঘিও ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি দীঘি ভরাট হয়ে গেছে। যেমন স্বাধীনতার পরে কুমিল্লা শাসনগাছা এলাকার ডাকবাংলো দীঘি এবং পাকিস্তান আমলে ইপিজেড সড়কের আনন্দ সাগর দীঘি ভরাট হয়ে গেছে। এখনও কয়েকটি দীঘিই যা টিকে আছে; পুকুরগুলো নাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, দিঘি ও পুকুরের শহর হিসেবে কুমিল্লা ছিল পরিপাটি একটি শহর। আমার গবেষণা মতে, ১০০ বছর আগেও কুমিল্লা শহরে পুকুরের সংখ্যা হাজারের বেশি ছিল। কিন্তু এখন খুঁজেও পুকুর বের করা কষ্টকর। আগে প্রায় সব বাড়ির সামনে থাকা পুকুরে শান্ত, টলটলে পানি দেখে মুগ্ধ হতাম আমরা। পুকুরের ঠান্ডা বাতাসে শরীর-মন জুড়িয়ে যেত। এসব প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

            বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানও বিগত সময়ে একের পর এক পুকুর ভরাট করেছে। সাম্প্রতিক বছরে জেলখানা কর্তৃপক্ষ দু’টি পুকুর ভরাট ছাড়াও বিশাল একটি জলাশয় ভরাট করে ১৪ তলার কয়েকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে।

            এ ছাড়া পুলিশ, সড়ক ও জনপথ বিভাগও পুকুর ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করেছে। আমরা প্রতিবাদ করেও একটিরও ভরাট রুখতে পারিনি। পুকুরের শহর কুমিল্লায় এখন পুকুরের অস্তিত্ব টিকে থাকাই দায়।

            বাপার সাধারণ সম্পাদক ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, কুমিল্লার কোনো সরকারি দপ্তরেই পুকুরের সংখ্যার তথ্য নেই। তবে আমাদের তথ্যমতে, ২০০০ সালের আগেও কুমিল্লা শহর এলাকায় পাঁচ শতাধিক পুকুর ছিল। বর্তমানে এই সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০০।

            বর্তমানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে বাকি পুকুরগুলো রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। বিগত সময়ে প্রতিটি ঘটনায় ব্যবস্থা নিলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হত না। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান পুকুর ভরাট করায় মানুষ ভরাটে আরো উৎসাহী হচ্ছে।

            নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাসিন্দা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি (সহসভাপতি) সফিকুল ইসলাম শিকদার বলেন, “স্বাধীনতার পরও কুমিল্লা শহরে আট শতাধিক পুকুর ছিল। আশির দশকের আগ থেকেই ব্যাপকহারে পুকুর ভরাট শুরু হয়। বর্তমানে কুমিল্লা শহরে পুকুরের অস্তিত্ব নেই। ভরাটের পর আজ পর্যন্ত একটি পুকুরও উদ্ধার হয়নি। প্রতিটি পুকুরের জায়গায় এখন বিশাল বিশাল বিল্ডিং।”

            ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, “২০-২৫ বছর আগেও এ এলাকায় প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে একটা করে পুকুর ছিল। আর বর্তমানে পুরো ঝাউতলা এলাকায় হাত ধোয়ার জন্য একটা পুকুর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই সময়ের মধ্যে প্রায় সব পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। পুকুরগুলোর ওপর এখন বিলাসবহুল বহুতল ভবন। দেখে বোঝার উপায় নেই, এখানে এক সময় পুকুর ছিল।

ভরাটের সময় প্রশাসন বাধা দিলে ভরাটকারীরা কিছুদিন চুপচাপ থাকে। কিছুদিন পার হলেই কখনো রাতের আঁধারে, আবার কখনো প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ভরাটের কাজ শুরু হয়। বিগত সময়ের মধ্যে দেখা গেছে একটি ভরাটও শেষ পর্যন্ত আটকাতে পারেনি প্রশাসন। কুমিল্লা এখন ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর নয়; ভরাটের শহর।”

            এদিকে কুমিল্লা নগরীতে পুকুর ভরাট করায় গত বছরে চারটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়। ২০১১ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ২০২৩ সাল ছাড়া এই দীর্ঘ সময়ে কুমিল্লা নগরীর ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে শুধু একটি মামলা হয়েছে। তবে বেশ কয়েকজনকে নোটিস দিয়ে ডেকে এনে পুকুর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার শর্তে জরিমানা আদায় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু একটি পুকুরও আগের অবস্থায় ফিরে আসেনি।

            পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে কুমিল্লা পুকুর ও দীঘির শহর। আমরা কুমিল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছি। কোথায় পুকুর, ডোবা ও জলাশয় ভরাটের তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ২০২৩ সালেই ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে চারটি। আর সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠান ভরাটের কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।”

            তিনি বলেন, “জলাশয় ও পুকুর ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কুমিল্লায় কোনো অবস্থাতেই আর কাউকে পুকুর ভরাট করতে দেয়া হবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ভরাটকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক আমরা কাউকে ছাড় দেব না।”

            কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামছুল আলম বলেন, “পুকুর ভরাট রোখানোর দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

            কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, “আমাদের দপ্তরে সরকারি পুকুরগুলোর তালিকা আছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আমার দায়িত্বের সময়ে দেখেছি কুমিল্লা নগরীতে দেড়-দুই বছরের মধ্যে একটি পুকুরও ভরাট হয়নি। আমরা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। কোথাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ পুকুর বা জলাশয় ভরাটের চেষ্টা করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

Share This