মনোহরগঞ্জে মত বিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সারা পৃথিবীর মানুষ এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে
স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বার বার এই দেশে ক্ষমতায় আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই বর্তমানে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একদিন বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নিবে। একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু শেখ হাসিনা বার বার ক্ষমতায় আসতে গিয়ে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। বহু ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেনি। আমি লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সত্য বাস্তবায়ন করা, সুশাসন কায়েম করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি। আমি দ্বিতীয় বার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি যাতে সততার সাথে সে দায়িত্ব পালন করতে পারি, সে জন্য আপনারা সকলে দোয়া করবেন। আমার নির্বাচনী আসনে অসংখ্য উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামী আমার নির্বাচনী আসনের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে। আজ শুক্রবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পোমগাঁও নিজ বাড়িতে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, আমি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার পর যে সকল নেতাকর্মী আমাকে সহযোগিতা করেছেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যারা মারা গিয়েছে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একই সাথে আমি সম্মান প্রদর্শন করি সেই সমস্ত নেতৃবৃন্দের প্রতি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা বার বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ৫ম বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৬ সালে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এমপি নির্বাচিত করার ব্যাপারে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের অনেক অবদান আছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অবদান কখনো ভুলবোনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশ্বস্তকর্মী হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন লড়াই, সংগ্রাম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন এবং আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কাছে কাছে গিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করেনি। কৃষকের জন্য সারের ব্যবস্থা করেনি। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কৃষকের জন্য সারের ব্যবস্থা করেছেন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অসংখ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ ক্ষমতায় আসার পর প্রতি ৬ হাজার জনের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কিন্তু আবার বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। তারা বলে কমিউনিটি ক্লিনিক লাগবে না। পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। আজকে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারছে। এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে সারা বাংলাদেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা আমাকে ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন, ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন এবং সর্বশেষ গত ৭ই জানুয়ারি-২০২৪ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সন্তান, আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। আমাদের কুমিল্লার উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকা লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে উন্নয়নে কাজ করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ- কালভার্ট, মসজিদ- মাদ্রাসা, স্কুল- কলেজে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। এবারও আমি আপনাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আপনাদের সন্তান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাদের সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে আছি তত দিন আপনাদের পাশে থাকব।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মাষ্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট তানজিনা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মো. কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার মজুমদার, দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, আবদুল মান্নান, কামাল হোসেন, আবদুল মজিদ খান রাজু, আশিকুর রহমান হিরণ, মফিজুর রহমান, মহিন উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল হান্নান হিরন, আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. সেলিম কাদের চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান শামীম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।